সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আ’রো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আ’ছ’ড়ে প’ড়’বে উপকূলে, আ’শ’ঙ্কা’র বা’র্তা দি’লো মৌসম ভবন

ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী রূপ নিয়ে ধেয়ে আসবে বাংলা ও ভারতের উপকূলে, জানাল গবেষণা। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ বাংলা-সহ ভারতের পূর্ব উপকূলে ত্রাস সৃষ্টি করে গিয়েছে। ডিসেম্বর বিরল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে জাওয়াদ আছড়ে না পড়লেও দুর্যোগের ঘনঘটা কম ছিল না দু-তিনদিন ধরে। এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শুরু করে ওড়িশা, বাংলার উপকূল কাঁপিয়েছে। এরপরই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে মৌসম ভবন।

সেই বার্তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও মান্যতা দিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে ততই ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বাংলা তথা ভারতে এখন বছরে নিদেনপক্ষে চার-পাঁচটি বড় মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যাটা বাড়বে বলেই মনে করছে মৌসম ভবন। কয়েক বছর আগেও দেখা গিয়েছে বছরে এক-আধটা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। এখন যত দিন যাচ্ছে ততই ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। শীত পেরিয়ে গরমের হাওয়া ফুটলেই দেশে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি শুরু হয়।

এবারও তেমন পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। আসন্ন মরশুমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় বাড়ার সমূহ সম্ভাবনার কথা জানায় মৌসম ভবন। ফলে আগামী দিনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাড়বে এবং কঠিন হবে পরিস্থিতি।

সময় যত এগোবে ততই প্রকৃতির রোষানলে পড়বে। মৌসম ভবনের আবহবিদরা ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতার কারণও ব্যাখ্যা করছেন। আবহবিদরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ত্রমবর্ধমান তাপমাত্রাই দায়ী ঘূর্ণিঝড়ের বাড়বৃদ্ধির জন্য। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অশান্ত হয়ে উঠছে সাগর। ভারত মহাসাগর থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরও অশান্ত।