সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শুরু নবরাত্রি, দেবী দুর্গার ৯ রূপের সৃ’ষ্টি ও দেবীর নাম জা’না আছে আপনার?

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা আর হাতে মাত্র দুই একটা দিন বাকি, শুধুমাত্র যে দূর্গা উৎসব বাঙ্গালীদের জন্যই তা কিন্তু নয়,অবাঙালিরাও মেতে ওঠে দূর্গা উৎসব অর্থাৎ নবরাত্রির উৎসবে। ৭ই অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে নবরাত্রি এবং যা আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। নবরাত্রি ন’টা দিন ধরে পূজো করা হয় মা দুর্গার ন’টি রূপকে। নবরাত্রির এই উৎসব দশমীর দিনে শেষ। পুরানে লেখা ক্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালের দুর্গাপূজা প্রচলন করেছিলেন। রাবণকে বধ করার জন্যই রামচন্দ্র মা দুর্গাকে আরাধনা করার জন্য নবরাত্রির এই ব্রত প্রচলিত করেছিলেন। নবরাত্রিতে পুজো হয় মায়ের ন’টি রূপের, এই ন’টি রূপ হল ব্রহ্মচারিণী, শৈলপুত্রী, কুষ্মাণ্ডা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, চন্দ্রঘণ্টা, সিদ্ধিদাত্রী, মহাগৌরী, স্কন্দমাতা।

নবরাত্রি উৎসবের প্রথম দিনে পুজো হয় শৈলপুত্রী রূপের, শৈল কথার অর্থ হল পাহাড় অথবা পর্বত। শৈলপুত্রী দেবীর বাহন হলেন ষাড়। নবরাত্রি উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও পুজো করা হয় ব্রহ্মচারিণী রূপের। তৃতীয় দিনে পুজো করা হয় চন্দ্রঘণ্টার। এইরূপে মায়ের মাথার ওপরে দেখা যায় চাঁদকে। নবরাত্রি উৎসবের চতুর্থ দিনে কুষ্মাণ্ড রূপের পুজো করা হয়। মা দুর্গা এই কুষ্মাণ্ডা রূপে এসে এই মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছিলেন। পঞ্চম দিনে স্কন্দমাতা রূপের পুজো করা হয় নবরাত্রি উৎসবে। কন্দ হলো কার্তিকের আর এক নাম, সেইজন্যে কার্তিকের মাতা অর্থাৎ স্কন্ধের মা বলে স্কন্দমাতা বলা হয়।

নবরাত্রির ৬ তম রাতে কাত্যায়নী রূপের পুজো হয়। কাত্যায়নীর কন্যা হিসেবে মা দুর্গা জন্ম নিয়েছিলেন যার জন্য এই রূপের নাম কাত্যায়নী। নবরাত্রি সপ্তম তম দিনে পুজো হয় দেবী কৃষ্ণবর্ণার। অষ্টম তম দিনে মা দুর্গার গৌরবর্ণ রূপের পুজো করা হয়। গৌড় বর্ণ ছিলেন হিমালয় কন্যা। মহাদেব যখন স্নান করিয়েছিলেন গঙ্গা জল দিয়ে সেই সময় মা দুর্গা হয়ে ওঠেন গৌরী, সেই জন্যেই এই রূপ এর নাম মহাগৌরী। নবরাত্রি উৎসবে মা দুর্গার এই রূপের পুজো করলে সমস্ত রকম পাপ ধুয়ে মুছে যায়। নবরাত্রি উৎসবের শেষ এবং নবমতম দিনে পুজো হয় সিদ্ধিদাত্রী রূপের। সিদ্ধিদাত্রি মায়ের পূজো করায় সুখ এবং সমৃদ্ধি আসে সংসারে।