বলিউডের সম্পর্ক ভাঙ্গা-গড়ার খেলা তো লেগেই আছে। আর এখন শুধু বলিউড নয়, টলিউডেও এই ব্যাপারটা বেশ লক্ষ্যণীয়। কিন্তু সবকিছুরই তো ব্যতিক্রম থাকে। তাই সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা ছড়ালেও তাঁদের সম্পর্ককে ভাঙা যায় নি। প্রত্যেকটি সম্পর্কের মাঝে বিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। তা না হলে সেই সম্পর্ক মজবুত হয় না। বলিউডের পাওয়ার কাপল অর্থাৎ অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক ধরে পরস্পরের হাতে হাত রেখে পথ চলছেন। কোনোকিছুই তাদের আলাদা করতে পারে নি।
একসময় বহু ছবিতে অভিনয়ও করেছেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ তথা বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই ও অভিষেক বচ্চন। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বেশ এক বন্ধুত্বপূর্ণ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ‘ধুম’ ছবি থেকে তারা তাদের প্রেম উপলব্ধি করতে পারেন। এই ছবিটিই ছিল তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলস্টোন। ২০০৭ সালে অভিষেক ও ঐশ্বর্য বিয়ের পীড়িতে বসেন। ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাস দুটোই বেড়েছে। আর তার প্রমাণ বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাদের কথাবার্তা। পরস্পরের গুনাগুন, পছন্দ-অপছন্দ, প্রেম নিয়ে কথা বলতে তারা কখনও থামেননা।
এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য বলেছিলেন তিনি অভিষেককে খুব ভালোবাসেন কারণ অভিষেকের একটি বিশেষ গুণ রয়েছে। ঐশ্বর্য সে বিষয়ে বলেছেন, “অভিষেক একজন অতি সাধারণ এবং উদার ছেলে, আর তাই আমি ওকে এতটা পছন্দ করি। এমন মানুষ যে নিজের ফিটনেস নিয়ে সব সময় চিন্তিত, তার সাথে আর যাই হোক আমি থাকতে পারতাম না (পরোক্ষভাবে তিনি এখানে সলমান খানকেই নির্দেশ করেছেন হয়তো) এবং অভিষেক এমনটা একদমই নন।’’
বলিউডের অত্যন্ত সফল বৈবাহিক কাপল তারা। দীর্ঘ ১৪ বছর একে অপরের সাথে রয়েছেন তারা। তাদের সম্পর্কের এত উষ্ণতার রহস্য কী তা জানতে চাইলে রাই বলেন, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসই তাদের এতদিনের সম্পর্ককে টিকিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে ঐশ্বর্যের স্পষ্ট বক্তব্য, “নিজের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস রাখুন। আপনার হৃদয়, মন এবং আত্মাকে বিশ্বাস করুন। আপনি সবসময় আপনার ভালো বন্ধু ছিলেন। সব কিছু বাস্তব রূপে অভিজ্ঞতা করুন। তবে বিয়ের পরেও আপনি সুখী হতে পারবেন।”
রাই সুন্দরীর পাশাপাশি অভিষেকও ঐশ্বর্যের গুনাগুণ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি জানান। ঐশ্বর্যের তাঁর জীবনে আগমন প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, আমার জীবনে ঐশ্বর্যের অনেক অবদান। আমার জীবনে ঐশ্বর্য আসার পর অনেক বদল ঘটেছে। ও আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছে। এর আগে বাড়ির কোনো বিষয়ে আমি দায়িত্ব নিতাম না কিন্তু বিয়ের পর আমি দায়িত্ব বোধ করি”।