অরিজিৎ সিং নামটা আমাদের কারোরই অজানা নয় , বিশ্ব জোড়া তাঁর খ্যাতি। সকলে এক নামে চেনেন তাঁকে। বর্তমানে একজন হাই পেড গায়ক তিনি। তবে তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি তাঁর খ্যাতি নিয়ে কখনো গর্ব করেন না। বরং তাঁর মতো ডাউন টু আর্থ মানুষ খুব কমই হয়। তবে অনেকেই জানেন না তাঁর একটি বোন ও রয়েছে তার নাম অমৃতা সিং। সেও একজন গায়িকা। সম্প্রতি ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ‘বিসমিল্লাহ’ ছবিতে গান গেয়েছেন অমৃতা।
সেই সঙ্গে ইতি মেমোরিজের মত বেশ কিছু ওয়েব সিরিজেও তার গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতারা। তবে এই প্রশ্নটি তার কাছে বার বার এসেছে অরিজিতের বোন বলেই কি বাড়তি সুযোগ-সুবিধা এসেছে তার হাতে? এই প্রশ্নের জবাব আনন্দবাজারকে দিয়েছিলেন তিনি। অমৃতা আনন্দবাজারকে বলেছেন তিনি কারও সুপারিশে কোনও কিছু পাওয়াতে বিশ্বাসী নন। তার দাদাও কখনও তার জন্য সুপারিশ করেননি কারও কাছে।
নিজের সঙ্গীতের মাটি তাকে নিজেই শক্ত করতে হয়েছে। তিনি দাদার কাছ থেকে সঙ্গীত নিয়ে অনেক টিপস পেলেও কোনো পরিচালকের কাছে নিয়ে তাঁকে যাননি তার দাদা। অমৃতা বলেছেন, “দাদা বলেই দিয়েছিল তোমার নিজের পথ চলাটা একান্তই নিজের, কোনও সংগীত পরিচালককে গিয়ে কখনও আমায় নেওয়ার কথা বলেনি। হ্যাঁ, গান নিয়ে কথা হয়, অনেক কিছু শিখি।” তবে এটা তিনি স্বীকার করেছেন তাঁর দাদার জন্য কি অনেক বিখ্যাত মানুষের সাথে আলাপ করতে পেরেছেন।
আরো খবর: রিপাবলিক ডে সেল শু’রু হ’বে Amazon-এ, মিলবে ৭৫ শতাংশ ছা’ড়, জানুন তারিখ
কৌশিকী চক্রবর্তীর কাছে তালিম নিয়েছেন অমৃতা। সেটাও তার কাছে কিছু কম বড় পাওনা নয়। তাঁর দাদার সম্মন্ধে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান দাদার স্ট্রাগল টা অনেক বেশি তার থেকে। তিনি অনেক কাছ থেকে দাদার স্ট্রাগল টা দেখেছেন। একটা সময় ছিল যখন মুম্বাইয়ে দাদা বেশ কিছুদিন সংগীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে কাজ করেছিলেন অরিজিত। সেই সময় অরিজিৎ বাড়িতে আসতেন শুধু ঘুমানোর জন্য।
তবে অমৃতা বিশ্বাস করতেন তার দাদা একদিন অনেক নাম করবেন সেই কোথাও তিনি জানান। তিনি এও বলেন, ” মা সব সময় বলতো ওর জগৎজোড়া নাম হবে। তাই আমরা জানতাম এটা হবেই।” তবে দাদার সঙ্গে তার তুলনাই চলে না বলে মনে করেন অরিজিতের বোন। তিনি অবশ্য বলেছেন অরিজিত অনেক ছোট বয়স থেকে গান শিখছেন।
আর অমৃতা তুলনায় অনেক দেরিতে গানের জগতে প্রবেশ করেছেন। এছাড়াও ইন্ডিয়ান আইডল শোতে আমৃতাও যান কিন্তু সিলেকশন অব্দি তার হয়নি বলে জানান তিনি। তবে এখন তিনি দক্ষ। আর তিনি বারবার বলেন তার দাদার সাথে কম্পিটিশন নয় তিনি নিজের যোগ্যতা দিয়ে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে চান।
