সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বি’য়ে দেখানো হ’লো অনলাইনে, খাবার হোম ডেলিভারি আত্মীয়দের বাড়িতে, বর্ধমানের বি’য়ে ভাইরাল

দু বছর ধরে করোনার প্রকোপে গোটা বিশ্ব জুড়ে এক বিধ্বস্ত অবস্থা। উৎসব অনুষ্ঠান সমস্ত কিছুই যেন থমকে গেছে, দ্বিতীয় ঢেউ পার হওয়ার পরেই আমরা সকলেই ভেবেছিলাম হয়তো বা কিছুটা হলেও করোনার প্রকোপ কমেছে তবে পরে আবার তৃতীয় ঢেউ আসায় বেশ মুশকিলে পড়ে গেছে সাধারণ মানুষ। ফের লকডাউন এর মাধ্যমেই চলছে করোনা সাথে মোকাবেলা করার উপায়। সপূর্ণভাবে লকডাউন না দিয়ে থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ জারি করেছে সরকার। এই বাধানিষেধের প্রথমেই থাকছে স্কুল কলেজ এবং বিয়ে বাড়ি এ বেশি লোক একসাথে জড়ো হওয়া যাবে না এরকমই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

তবে অন্যদিকে সমস্যা হলো বিয়ের মরশুম তার মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে কম লোকের আয়োজন করেই বিয়ে করার অনুমতি পাচ্ছে বিভিন্ন পরিবারেরা। তবে এবারে অভিনব ভাবে বিয়ের সাক্ষী রইল বর্ধমান জেলা। বিয়ে বাড়ি মানে হলো সবাই একসাথে আনন্দ আড্ডা খাওয়া-দাওয়া তবে করোনার দাপটের জন্য সবকিছুই এখন অতীত, মাত্র কয়েকজন নিয়েই হয়তো বিয়ে সারতে হবে। তবে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারো আর না পারুক নিজেদের মধ্যে বিয়ের বিশেষ অভিনব প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করে বেশ আনন্দ করলো বর্ধমানের মেমারির পাল্লারোড এর পাএ সন্দ্বীপন সরকার এবং তার হবু স্ত্রী অদিতি দাস।

১৪ ই জানুয়ারি তাঁদের বিয়ের ডেট ছিলো বিয়ে বহুদিন আগে থেকেই ঠিক ছিল কিন্তু করোনার জন্য এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আনন্দ কিছুটা হলেও রাশ টানতে হলো তবে, তারা পিছিয়ে থাকে নি তারা ভার্চুয়ালের মাধ্যমে নিজেদের বিয়েটাকে অভিনব ভাবে উদযাপন করলেন‌। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৫০ জন কিন্তু গুগোল মিটে বিয়ের সেই বিশাল আয়োজন করা হলো যেখানে বাদ ছিল না ভুরিভোজ।

অনলাইনের মাধ্যমে গোটা বিয়ে দেখা এবং জোমাটোর মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি করা হলো সমস্ত আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বাড়ি। সবাই যে যার খাবার খেতে খেতে অনলাইনে বিয়ের আনন্দটা ও উপভোগ করল। এই ধরনের একটি অভিনব প্রচেষ্টাতে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বইছে প্রশংসার ঝড়।