নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে টলিউডের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের রয়েছে,এমনটাই দাবি করেছিলেন অনেকে। তবে এই প্রথম কোনও অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।সূত্রে খবর, সামনের মঙ্গলবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে।
ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্কের নথি তদন্ত করার সময় সেখানে বনির নাম উঠে আসে।তাই তাঁকে তলব করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বনি আগেই জানিয়েছিলেন, কুন্তল তাঁকে দু’টি ছবির অগ্রিম বাবদ ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
এতটা পারিশ্রমিক নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। টলিপাড়ার একজন জানিয়েছেন , “ছবির জন্য বনি ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকে। তবে এখন সে বাড়িয়েছে কি না, তা জানি না।” তবে কুন্তলের থেকে বনির টাকা নেওয়ার ঘটনাটি ২০১৭ সালের যখন বনি সদ্য এসেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। বনি যে অগ্রিম টাকা নিয়েছিল তার চুক্তিপত্রও পাওয়া যায়নি।
আরো খবর: সব ফাঁস! তৃণমূলের বিধায়ক ১৮ লক্ষ টাকায় চাকরি বি’ক্রি করছেন
কুন্তল কেন গোটা টাকা অগ্রিম দিলেন, সেটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সূত্রে খবর ,বনির সাথে আরও ছয়জন অভিনেতাকে তলব করেছে ইডি। টলিউডে অবৈধ টাকার বিনিয়োগ নিয়ে সাংসদ তথা অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে শতাব্দী রায় বলেন, ‘‘কেউ তো মাইনের টাকা বাঁচিয়ে সিনেমা করতে আসে না। হলিউড, বলিউড, টলিউডে একটাই নিয়ম চলে। ব্যবসায় লাভের আশায় বিনিয়োগ হয়। যাদের কাছে তুলনামূলক বেশি টাকা আছে তারাই ছবি করতে আসে।
প্রযোজকদের ইনকাম সোর্স দেখা তো আর অভিনেতাদের কাজ নয়।’’ তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আরও জানিয়েছেন, ‘‘কেউ তো আর স্থানীয় এসপি বা বিডিও-র ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেখে কারও সঙ্গে মেলামেশা করেন না। তবে যতটা ফালতু ঝামেলা এড়িয়ে চলা যায় ততই ভাল। অভিনয় একটা পেশা, একে পেশাগতভাবেই নিতে হবে।’’