বিয়ের কথা বেমালুম চেপে গেলেন কোচবিহারের এক যুবক। শুধু চেপে গেলেন বললে ভুল বলা হবে, দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়লেন তিনি। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং পরিবারের লোকজনের কাছে সে কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শাস্তি পেতে হল ওই যুবককে। কি সেই শাস্তি চলুন জেনে নেওয়া যাক।
দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দিলে তৃতীয় পক্ষের শ্বশুরবাড়ির সকলে। ঘটনাটি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানীরহাট এলাকায় ঘটেছে।
ওই যুবক বেশ কয়েক বছর আগে নমিতা রায় নামে এক যুবতীকে বিয়ে করেছিলেন। সেই বিয়ের কথা আড়াল করে আরো একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন: বাংলায় কবে দা’প’ট দেখতে পাওয়া যা’বে কালবৈশাখীর?
বর্তমানে ওই যুবকের দুটি স্ত্রী রয়েছে। প্রথম পক্ষের দুটি সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় পক্ষের সংসারেও কয়েক মাসের একটি কন্যা সন্তান আছে বলে জানা গেছে। স্বামীর প্রথম বিবাহের কথা জানতে পেরে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কন্যা সন্তানকে নিয়ে চলে যান বাপের বাড়ি।
তারপর থেকেই বারবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করেন অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ। এদিকে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য যেই না জামাই গেছে শশুড়বাড়ি, অমনি সেখানে সকলে নতুন জামাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
আরো পড়ুন: নেই দু’টো হাত, এই খুদের নাচ দে’খে চো’খ ফে’রা’তে পারছেন না দেশবাসী! রইলো ভিডিও
অভিযুক্ত জানান, 11 বছর আগে তিনি নমিতাকে বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম পক্ষের সঙ্গে এখন ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তাই তিনি আরও একবার বিয়ে করেন। কিন্তু শশুর বাড়ির লোকজন তাকে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে দিচ্ছে না।
প্রতিবাদ জানাতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গাছে বেঁধে পুলিশে খবর দেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছে বেঁধে রাখা হয় তাকে। এখনো পর্যন্ত ওই যুবকের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী অথবা পরিবারের কারও পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি পুলিশের কাছে। অভিযোগ দায়ের করা হলে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ