সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সরস্বতী পুজোর পরের দিন গো’টা সিদ্ধ লাগবেই! রইলো রেসিপি, কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটাও জেনে নিন

দেখতে দেখতে নতুন বছরের একটি মাস শেষ হয়ে গেল। ফেব্রুয়ারী শুরু হবার সাথে সাথে আসতে চলেছে সরস্বতী পুজো। শীতের বিদায় বেলা এবং বসন্তের আগমনী ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে মন। বাসন্তী পঞ্চমী কে ঘিরে উৎসবের আমেজে মেতে ওঠে প্রত্যেক বাঙালি। স্কুল-কলেজে দেখতে পাওয়া যায় সাজে সাজো রব। বাঙালির পূজো পার্বণ পালন করার পাশাপাশি যারা এদেশীয় অর্থাৎ যারা ঘটি, তারা অনেকেই মেতে থাকেন গোটা সিদ্ধ উৎসবে।

সরস্বতী পূজার পরের দিন শীতলা ষষ্ঠী হিসেবে পালন করা হয়। এইদিন সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত উদযাপন করেন প্রত্যেক মায়েরা। এদিন বাংলার রান্নাঘরে উনুন জলে না। শিলনোড়া কে বিশ্রাম নিতে হয় এই দিন। তাই আগের রাতে তৈরি করা হয় গোটা সেদ্ধ। শীতলা ষষ্ঠী পুজো উৎসবের দিন খাওয়া হয় গোটা সেদ্ধ। আপনি যদি না জেনে থাকেন এই গোটা সেদ্ধ কিভাবে তৈরি করা হয় তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ-

আপনার ছয়টি করে আলু, রাঙা আলু , বেগুন, শিষ পালং শাক, সিম , মটরশুঁটি নিন। ৩০০ গ্রাম সবুজ মুগ কড়াই, ২ কাপ সরষের তেল, ১ কাপ আদা বাটা, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, স্বাদ মত নুন ও চিনি, ২ চা চামচ পাঁচফোড়ন, ১ চা চামচ গোটা জিরে, স্বাদ মত শুকনো লঙ্কা।

প্রথমে কড়াইতে এক কাপ সরষের তেল দিতে হবে। এরপর পাঁচ ফরণ এবং শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিয়ে গোটা গোটা সব্জীগুলি সবগুলি দিয়ে দিতে হবে। এবার 1 থেকে 2 মিনিট ভালো করে নেড়ে নিতে হবে। এরপর আদাবাটা দিয়ে দিতে হবে মুগ ডাল এবং শিস পালং শাক। একটু নেড়ে নিয়ে দিতে হবে নুন এবং হলুদ গুঁড়ো।

যখনই সবজি এবং ডাল সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো এবং স্বাদমতো চিনি দিয়ে দিতে হবে। এইভাবে কিছুক্ষণ রান্না করার পর সব্জীগুলি যখন ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন জল শুকিয়ে মাখোমাখো করে দিতে হবে। ঠান্ডা করে রেখে দিতে হবে পরের দিন মুড়ি দিয়ে এই গোটা সেদ্ধ খেতে হয়।