পরিবারের লোকজন দেখাশোনা করে বিয়ে ঠিক করেছিলেন। বিয়ের আগে অন্য দম্পতিদের মতো কথাবাত্রা হতো তাদের মধ্যে। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বিপত্তি হলো ঠিক ফুলশয্যার ভোরবেলা। নববধূ বাথরুম থেকে এসে হঠাৎ করে দেখেন স্বামী ঝুলন্ত অবস্থায় ফ্যান থেকে ঝুলে রয়েছে। দৃশ্যটি দেখে সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নববধূ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া শালিমার এলাকায়।
শালিমার এলাকার যুবক আদর্শ সৌয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ব্যারাকপুরের বর্ষা কুমারীর। পেশায় গাড়িচালক আদর্শ এই বিয়েতে সম্মতি জানিয়ে ছিল। ফলে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল,হয়েছিল ফুলশয্যা। কিন্তু শুক্রবার ভোর বেলা বর্ষা কুমারী ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যান। ফিরে এসে দেখেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে আদর্শ।
কিন্তু সবকিছু ঠিক থাকার পরে কেন আত্মঘাতী হলেন স্বামী? তা জানার জন্য ইতিমধ্যে বি গার্ডেন থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ঘটনাটি এতটাই আকস্মিকভাবে হয়েছে যে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে স্ত্রী। উত্তর জানা নেই কারোর, কেন এমন হলো।
গোটা ঘটনাটি প্রকাশ আসতেই ভেঙে পড়েন দুই পরিবার। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আদর্শকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে তবে আত্মহত্যা করার জন্য কেন ফুলশয্যার পরের দিন বেছে নিলেন শালিমার এর ওই যুবক তার এখনো বুঝতে পারা যাচ্ছে না।
এই প্রসঙ্গে বর্ষা কুমারী জানান, বিয়ের আগে ফোনে কথা হত। কোন কিছু বোঝা যায়নি। সকালে উঠে বর্ষা কুমারীকে ফ্রেশ হবার জন্য বলেছিলেন আদর্শ। তারপরে কিভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন তিনি তা সত্যি বোঝা যাচ্ছে না। অন্য কারো সঙ্গে প্রেম ঘটিত সম্পর্ক ছিল কিনা সেটাও জানা নেই কারোর।