সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঐন্দ্রিলার প্র’য়া’ত হওয়ার পর এই প্রথম মুখ খুললেন সব্যসাচী, কি বললেন প্রিয়জনকে নিয়ে?

জীবন আমাদের মাঝে মাঝে কোথায় এসে দাঁড় করিয়ে দেয় আমরা বুঝতেও পারি না। এই ভালো আছি তো হটাৎ এমন কিছু হলো যে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেলো এক নিমিষে। আর সেরকমই একটা রাত এসেছিল অভিনেতা সব্যসাচীর জীবনেও। তার জন্মদিনের রাতেই প্রিয়জনকে নিয়ে দৌড়তে হয়েছিল হসপিটাল। তার খুব কাছের বান্ধবী ঐন্দ্রিলা শর্মা নামটা সকলেরই জানা,তাঁর হটাৎ করে হওয়া ব্রেন স্ট্রোকের কারণে হাসপাতালে ছোটেন সব্যসাচী।

অনেক চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ফেরাতে পারেন নি তার মনের মানুষকে ২০ দিন লড়াই করেও ঐন্দ্রিলা তার সব্যসাচীর কাছে ফিরতে পারেন নি। প্রায় দুমাস হতে চললো হারিয়ে গেছে সে সবার কাছ থেকে। কিন্তু এরপরের স্টেজ টা আরো মারাত্মক ছিল। সব্যসাচী কারো সঙ্গে দেখা করতে চাইছিল না। নিজেকে সকলের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। আর এই নিয়েই তার অনুরাগীরা ছিলেন চিন্তায়। কিন্তু শেষ অব্দি আবারও অভিনয় জগতে ফিরলেন সব্যসাচী।

নতুন ধারাবাহিক রামপ্রসাদের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। কিন্তু এখন নেটিজেনদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে ভুলেই গেছেন। সাধারণত মিডিয়ার সামনে না আসতে চাইলেও কিছুদিন আগে এক সংবাদ মাধ্যমে তিনি আসেন এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন।

আরো খবর: দিদি নম্বর-১ এর সঞ্চালিকা এবার কে? রচনার কি দিন শে’ষ হ’তে চললো?

তাঁর নতুন ধারাবাহিক রামপ্রসাদ প্রসঙ্গে কথা বলার সময় পর্দার ‘রামপ্রসাদ’ বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে নেই তাই কে কোথায় কী বলছেন আমি জানি না। কিছু দেখি না। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রোমো পাঠিয়েছিল, সেটাই দেখেই ব্যস, এর বাইরে আমি সত্যি জানি না দর্শকরা ভালোবেসেছেন কিনা, তাঁদের পছন্দ হয়েছে কিনা…’।

আর যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় অনেকেই মনে করেন তিনি ঐন্দ্রিলাকে ভুলে গেছেন। যাদের মনে হচ্ছে আমি শোক ভুলে কামব্যাক করছি… আমি রিটায়ার করে তো কোথাও চলে যাইনি যে সেখান থেকে ফিরে আসব। তারাপীঠ শেষের পর আমি নিজেই বলেছিলেন কয়েকদিনের বিরতি নিয়ে ফের শুরু করব। সেটা হয়নি কয়েক মাস পিছিয়েছে’।

সাথে এও বলেন একটা ছোট্ট বিষয়কে কেনো এত বড় করে দেখানো হয় সেটাই তিনি বুঝতে পারেন না। কারন আজ যদি তার মার এমন অবস্থা হতো তার পাশে এভাবেই থাকত সে। সে কথাও জানায়। তিনি বলেন, “আমি খুব সাধারণ ছেলে।

আমার বিশ্বাস আমি যেটা করেছি সেটা খুব সাধারণ। মানুষ কিছু সাধারণ জিনিসকে বড় করে তোল, প্রিয়জনের অসুস্থতায় মানুষ তাঁর পাশে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। “