গত ৫ই সেপ্টেম্বর ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি থেকে সৌরপৃষ্ঠের একটা ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। সেই ভিডিও দেখে যেনো মনে হচ্ছে একটা সাপ সৌরপৃষ্ট জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এই সাপ সেই সাপ নয়। এটি হলো অপেক্ষাকৃত শীতল বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসের একটি টিউব, যা সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের একটি দীর্ঘ ফিলামেন্ট বরাবর অনুসরণ করে।
আর এই ঠান্ডা প্লাজমা টিউবটির আসে পাশের গরম প্লাজমার চুম্বকীয় ক্ষেত্রও গুলি ওখানেই আটকে ছিল। আর প্লাজ়মা গ্যাসকে এমন গরম করা হয় যে গ্যাসের পরমাণুর ইলেকট্রনগুলি হারিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, এই ইলেকট্রনগুলি পরমাণুকে বৈদ্যুতিক চার্জ দেয়, যার ফলে তারা চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
যেহেতু সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা 1,000,000 °C এর বেশি, তাই সৌর বায়ুমণ্ডলের সমস্ত গ্যাস আসলে প্লাজ়মাই। এছাড়াও, সৌর অরবিটার মহাকাশযান থেকে ধরা পড়েছে যে ওই সাপটি একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বসূরী ছিল। প্লাজ়মা চৌম্বক ক্ষেত্রের একটি বড় ফিলামেন্ট অনুসরণ করে, যা সূর্যের এক পাশ থেকে অন্য দিকে পৌঁছয়।
আরো পড়ুন: সামান্য দা’মে বি’ক্রি হচ্ছে Oppo-র প্রিমিয়াম স্মার্টফোন, রইলো খুঁটিনাটি
এদিকে ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, এই সোলার স্নেকের সৌরপৃষ্ঠ পার করেছে 170 কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড বা 380,000 মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে। তার জন্য সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা। আর এই ঘটনাটির প্রধান তদন্তকারী ডেভিড লং জানান যে, “আপনি একপাশ থেকে অন্য দিকে প্লাজ়মা প্রবাহিত করছেন।
কিন্তু চৌম্বক ক্ষেত্রটি সত্যিই বাঁকানো হয়েছে। তাই আপনি এই পরিবর্তনটি চাক্ষুষ করতে পারছেন। কারণ, আপনি ওই বেঁকে যাওয়া কাঠামোটির দিকে তাকিয়ে আছেন।”