সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মোবাইল জ্যামার বসিয়ে ডা’কা’তি চন্দননগরে, দু’ষ্কৃ’তী’দে’র পরিকল্পনা দেখে হ’ত’বা’ক পুলিশ

এক বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটল চন্দননগরে।চন্দননগরের গঞ্জের বাজারে জিটি রোডের ধারে গোল্ডলোন সংস্থার অফিসে ডাকাতি হয়েছে মঙ্গলবার দুপুরে। এই গোল্ডলোন সংস্থার অফিসে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কিন্তু, ডাকাতরা যে এতটা সাংঘাতিক তা প্রথমে টের পায়নি পুলিশ। তবে পুলিশের সন্দেহ ছিল। পরে তদন্তে নেমে তা বুঝতে পেরেছে পুলিশরা। ডাকাতদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি জ্যামার।

এখান থেকে এই ব্যাপার স্পষ্ট হয়েছে যে পেশাদার ডাকাতরা আগে থেকে রীতিমত পরিকল্পনা করেই এই কাজে নেমেছিল। জ্যামার থাকার মানে এই যে কোনো কারণে যদি কেউ কাউকে ফোন করতে চায় তা সে করতে পারবে না। অর্থাৎ নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হয় এসব ক্ষেত্রে। ডাকাতির সময় যাতে কেউ ফোন করে অন্যত্র বা পুলিশকে খবর দিতে না পারে তার জন্য ডাকাতরা জ্যামারের সাহায্য নিয়েছিল। এমনটাই ধারণা পুলিশের।

বুধবার চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, “এখন বুঝতে পারছি যে কেন ঘটনাস্থল থেকে ডিসি চন্দননগর বিদিতরাজ বুন্দেশ আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা পারেননি। জ্যামারের কারণেই সেটি হয়েছে।”

চন্দননগরের গঞ্জের বাজারে জিটি রোডের ধারে গোল্ডলোন সংস্থার অফিস। মঙ্গলবার ওই সংস্থার অফিসে ডাকাতি করতে এসেছিল চারজন ডাকাত। বেলা আড়াইটের পর ওই সংস্থার অফিসে ঢুকে পড়ে ডাকাতরা। প্রথমে সংস্থার কর্মীদের মারধর শুরু করে তারা। তারপরেই লুঠ শুরু হয়। মঙ্গলবার যে গঞ্জের বাজার বন্ধ থাকে তা ডাকাতরা আগে থেকেই জানতো বলে অনুমান পুলিশের। তাই ওই দিন দুপুরে সেই এলাকা ছিল নিস্তব্ধ।

ঘটনাস্থল থেকে মাত্র পাঁচশো মিটার দূরে চন্দননগর থানা থাকায় কোনওভাবে ওই অফিসে ডাকাত-হানার খবর চলে আসে পুলিশের কাছে। পুলিশ বাহিনী ওই অফিসে ঢুকতেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে ডাকাতরা। তৎক্ষণাৎ পালানোর চেষ্টা করে। এমনকী বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে রাস্তায় লাফিয়েও পড়েছিলেন কয়েকজন ডাকাত। এক পথচারীকে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর বাইক নিয়ে কয়েকজন তারা পালায়। ফলে সেই চেষ্টা সফল হয়নি তাদের। দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে পুলিশ। পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

দেড় লক্ষ নগদ টাকা তারা লুঠ করেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তিনটে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। তিনজন কে উদ্ধার করা গেলেও একজনকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে তল্লাশি চলছে। ডাকাতদের প্রত্যেকেরই ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে পুলিশ যে তাদের দলটি পড়শি রাজ্যের। ফলে, এই ডাকাত দলের সঙ্গে বড় কোনো চক্রের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।