স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হবে এটাই স্বাভাবিক এবং এটাও যুগ যুগ ধরে চলে এসেছে যে স্বামীর সাথে স্ত্রীর ঝগড়া বাঁধলে ত সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সব সময় বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার কথাটি বলে থাকে।
প্রতিবেদনে যে ঘটনাটি বলতে চলেছি এই ঘটনাতেও ঠিক সেরকমই হয়েছে কিন্তু এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল যেটা হয়েছে তা সত্যিই ভয়ঙ্কর।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এর লোধনা পঞ্চায়েতের নবগ্রাম কলোনি এলাকার। স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলো, বারবার তার স্বামী তাকে ডেকে ও ঘরে ফেরাতে পারেনি এই অভিমানের নিজের সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন এক ব্যক্তি।
আরো পড়ুন: বিপদসীমার উপর দি’য়ে বইছে তিস্তা, বৃষ্টিপাত নি’য়ে হাই অ্যালার্ট জারি উত্তরবঙ্গ জু’ড়ে!
বন্ধ ঘর থেকে পাওয়া যায় ছেলে এবং বাবার ঝুলন্ত মৃতদেহ। জানা গিয়েছে সেই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল যার কারণে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলো, বারবার স্ত্রীকে বাড়ি ফেরার কথা বলেও স্ত্রী ফেরে নি, যার কারণে শ্বাসরোধ করে নিজের ছেলেকে খুন করার পর নিজেই আত্মঘাতী হয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে অবশ্য পুলিশ প্রশাসন এটাই ভাবছেন।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার পুলিশের আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃত্যুর পিছনে অন্য কোন ব্যাপার রয়েছে কিনা সেটা অবশ্যই হবে তদন্ত করা হবে। এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইতিমধ্যেই ডাকা হয়েছে।
ওই মৃত ব্যক্তির নাম অসীম মজুমদার বয়স ৩৩, এবং তার ছেলের নাম অমল মজুমদার তার বয়স ৭ বছর। বন্ধ ঘরের মধ্যে ওই মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে।
এই গোটা বিষয়ে এলাকার বাসিন্দার তরফ থেকে জানা যায়, রুপা মজুমদারের সঙ্গে অসীমের বিয়ে হয়, তাদের দুটি সন্তান, একটি মেয়ে এবং একটি সাত বছরের ছেলে।
বুধবার সকাল বেলায় রুপাকে প্রস্তাব পাঠানো হয় বাড়ি ফেরার জন্য কিন্তু এই বিষয়ে রুপা কোন রকম সাড়া দেয়নি, ফলে এই ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তিনি দরজা বন্ধ করে তার ছেলে অমরকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে অবশেষে নিজে আত্মঘাতী হয় সেই সময় তাদের মেয়ে নুপুর বাড়ি ছিল না।