Home বিনোদন “রমা তোমার সা’থে যদি আমার বি’য়ে হতো” উত্তর কুমারের প্র’স্তা’বে কি বলেছিলেন...

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“রমা তোমার সা’থে যদি আমার বি’য়ে হতো” উত্তর কুমারের প্র’স্তা’বে কি বলেছিলেন মহানায়িকা?

আমাদের বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয়তা প্রথম পেতে শুরু করে যাদের হাত ধরে তাঁদের মধ্যে হয়তো শ্রেষ্ঠ জুটি হল উত্তম – সুচিত্রা জুটি। একটা বড় সময় জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তাঁরা গোটা ইন্ডাস্ট্রি। তাঁদের একটা ছবি মানেই সুপারহিট। আর এই জুটির মধ্যে অন স্ক্রিন যেমন বন্ডিং ছিল অফস্ক্রিন বন্ডিংও ছিল দেখার মতোন। বাঙালি রোমান্স কি সেটাও হয়তো শিখেছিল তাদের দেখেই। তবে ব্যাক্তিগত জীবনেও কি তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল যা কেউ জানত না এই নিয়েও অনেক জল্পনা বরাবরই ছিল। তবে এত জল্পনার মধ্যেও তাদের দিক থেকে কোনো আভাস দেননি মহানায়ক এবং মহানায়িকা।

দীর্ঘ ২২ টা বছর তারা একে অপরের পাশে থেকেছেন। কেরিয়ারে তারা আরও অন্যান্য তারকার সঙ্গে অনস্ক্রিন জুটি বাঁধলেও উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে তা কখনই ছাপিয়ে যেতে পারেনি। তবে জানা যায়, পর্দার বাইরে দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কটাও ছিল অত্যন্ত গভীর। সুচিত্রা উত্তমকে ভালবেসে ‘উতু’ নামে ডাকতেন। মহানায়কও মহানায়িককে ডাকতেন তার আসল নাম ‘রমা’ বলে। তাদের বন্ধুত্ব সকলেই জানে তবে তাদের সম্পর্ক গভীর ছিল বলেই মান অভিমান ও ছিল বেশীই। মাঝে মাঝে এতটাই রাগারাগি হতো যে তার জন্য বেশ করেকদিন ফিল্মের কাজ অব্দি বন্ধ রাখতে হতো।

এর পরে উত্তম – সুপ্রিয়ার সম্পর্ক নিয়ে টলিউডে চর্চা শুরু হয়। কিন্তু তাঁদের কখনো অসম্মানিত করেনি দর্শকে। চিরকাল সকলে তাদের শ্রদ্ধাই করে এসেছেন। তবে এই প্রশ্নটা বেশ কয়েকবার উঠেছে যে উত্তম সুচিত্রার মধ্যেও কি কোনো গোপন সম্পর্ক ছিল? অনেকই জানেন না তবে কিছু সূত্র মারফত জানা যায় যে, সুচিত্রা সেনকেও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন উত্তম কুমার। সুচিত্রা সেনের বাড়িতে এক সন্ধ্যায় আড্ডা দিতে দিতে উত্তম কুমার বলেছিলেন, “রমা, তোমার সঙ্গে যদি আমার বিয়ে হত!”

আরো পড়ুন: ৯৫ টা’কা প্রতিদিন জমা করলেই হাতে পাবেন ১৪ লক্ষ টা’কা, বি’রা’ট সুযোগ দি’চ্ছে পোস্ট অফিস

এভাবে অকপট প্রশ্ন প্রেম নিবেদন ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই সময়ে উত্তমকুমার কে সকলেই স্বামী হিসাবে পেতে চেয়েছেন সেখানে সুচিত্রা সেনের উত্তর ছিল একেবারে অন্য। তবে বন্ধুত্ব বজায় রেখেই তিনি জানিয়েছিলেন মজার ছলে, “একদিনও সেই বিয়ে টিকত না। তোমার আর আমার ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত স্বতন্ত্র। সেখানে সংঘাত হতই। তার উপর তুমি চাইবে তোমার সাফল্য, আমি চাইব আমার। এরকম দুজন বিয়ে করলে সে বিয়ে খুব বাজেভাবে ভেঙ্গে যেত”।

এই কথায় তিনি যে কতটা বুদ্ধিমতী ছিলেন তাঁর প্রমাণ মেলে। তবে মহানায়কের মারা যাওয়ার পর তাঁকে আর মিডিয়ার সামনে আসতে দেখা যায়নি। সকলের থেকে যেনো আড়ালেই থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর মন জুড়ে যে মহানায়ক অনেকখানি ছিলেন তা দর্শকদের বুঝতে কোনো অসুবিধে হয়না।