সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রবীন্দ্রনাথ কো’নো দেবতা নয় যে তাঁর গান প্যা’রো’ডি আকারে গাওয়া যা’বে না: নোবেল

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যার প্রত্যেকটা কবিতা এবং গানে ফুটে ওঠে সমাজের নানান রূপ, যার ভাষায় থাকে লালিত্য। যার কলমের জোরে আজকের বর্তমান সমাজেও তিনি রয়েছেন জীবিত। সম্প্রতি রবীন্দ্র সংগীতকে নিয়ে বিকৃতভাবে প্রতিস্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে হিরো আলমের বিরুদ্ধে, কিন্তু হিরো আলমের পাশে সেই মুহূর্তেই দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মইনুল আহসান নোবেল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি পোষ্ট করেছেন নোবেল,যেখানে তিনি লিখেছেন,” রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল দেবতা নয় যে তাদের গান নিয়ে কখনই সেটাকে অন্যভাবে প্যারোডি আকারে তৈরি করা যাবে না”। শুধু মাত্র এখানেই থেমে থাকেননি বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী নোবেল।

তার দাবি, “বাংলাদেশের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন অবদান নেই। বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে চর্চা হয় সেটাই নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য অনেক বেশি। বাংলাদেশের যদি কেউ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের প্যারোডি আকারে গায় তবে সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্য সব থেকে গর্বের ব্যাপার”।

আরো পড়ুন: ডাক্তারির প্রবেশিকা প’রী’ক্ষা’য় অকৃতকার্য, ত’বে পাকিস্তান পুলিশের শীর্ষপদে বসছেন এই হিন্দু মহিলা

ইতিমধ্যেই হিরো আলমের বেসুর গানে বাংলাদেশের একাধিক মানুষেরা বিরক্তি অনুভব করেন। তাদের বক্তব্য হিরো আলমের গলায় গান ফুটে ওঠা মানেই দেশের সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া। তার উচিত গান বন্ধ করে দেওয়া। হিরো আলমের গলায় কখনো শোনা গেছে, হিন্দি গান তো কখনো বাংলা তো কখনো রবীন্দ্র সংগীত।


তার নিজের লেখা গান ও তিনি গেয়েছেন। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ সংস্থার এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল হিরো আলমের গানের বিরুদ্ধে গিয়ে এবং সেখানে তারা দাবি করেন হিরো আলমের গ্রেপ্তারি। কিন্তু এই ঘটনার পর হিরো আলম কিন্তু থেমে থাকিনি।

তিনি তার বিরোধীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বলেন,” দুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে হিরো আলম গান গাইবে না, কিন্তু এই কথাটা একদমই ভুল। বলেছি রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি এই সমস্ত গানগুলো আর আমি গাইবো না। কিন্তু নিজের লেখা সমস্ত গান আমি অবশ্যই গাইবো”।