দূরপাল্লার বেসরকারি বাতানুকূল বাসের ভাড়া এক ধাক্কায় অনেকখানি বেড়ে গেল। সরকারি বাসের ভাড়া অবশ্য একই রয়েছে। উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ রুটে বেসরকারি বাতানুকূল বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পেল। প্রতি ক্ষেত্রেই বাসের টিকিট মূল্য ১০০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এমন লাগামছাড়া ভাবে বাসের টিকিট ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাস কোম্পানির প্রতিনিধিদের দাবি, যাত্রী সংখ্যা সেভাবে বাড়ছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই বাসের ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া উপায় নেই।
তবে অবশ্য সরকারি সমস্ত বাসের ভাড়া অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্ধ যাত্রীরা। তাদের পাল্টা প্রশ্ন সরকার যেখানে ভাড়া বৃদ্ধির বিরোধিতা করছে সেখানে বেসরকারী বা সংগঠনের মালিকেরা বাসের ভাড়া এমন ভাবে বৃদ্ধি করলো কিভাবে। যাত্রীদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেরই উপার্জন কমেছে। সেই পরিস্থিতিতে বাসের এমন লাগামছাড়া ভাড়া বৃদ্ধি হলে নাজেহাল হতে হবে সাধারণ যাত্রীদের।
পেট্রোপণ্যের লাগাম ছাড়া দাম বৃদ্ধির কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে পেট্রোল-ডিজেলের খরচ চালাতে ব্যর্থ বাস সংগঠনের মালিকেরা। তার উপর আবার রাজ্যে করোনা সতর্কতাবিধি লাগু থাকার কারণে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাত্রা করতে হচ্ছে। এতে লাভের তুলনায় লোকসান বেশি হচ্ছে বাস সংগঠনের মালিকদের। যে কারণে সরকারের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন তারা। তবে সরকার অবশ্য ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে অনুমতি দেয়নি।
বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, লাক্সারি বাসের ভাড়া রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে তিনি অবশ্য ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে নন। তিনি জানিয়েছেন পরিবহন দপ্তরের সঙ্গে এই বিষয়ে তিনি কথা বলবেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (WBTC) কিংবা অন্যান্য সরকারি এসি বাস পরিষেবার ভাড়া সমস্ত রুটেই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।