বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক এবং অন্যান্য নানা সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় দেবাদিদেব মহাদেব।
দেবাদিদেব মহাদেবকে সন্তুষ্ট করতে পারলে যে কোনো ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। মহাদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না। খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট তিনি।
যজুর্বেদে মহাদেবের দুটি পরস্পরবিরোধী সত্তার উল্লেখ রয়েছে। একটি হলো তার ক্রূর ও ভয়ঙ্কর রুদ্ররূপ। অপরটি হল দয়ালু এবং মঙ্গলময় শিবের রূপ। মহাভারতে মহাদেবকে বিশালতা এবং দুর্জয়তা, ভয়ঙ্করের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: একসময় উত্তম কুমারের স’ঙ্গে অভিনয় করেছিলেন, এখন কারো কাছে কা’জ চাইতে এই বয়সে অসম্মানে লাগে
পুরাণ মতে তিনি তার তৃতীয় নেত্র দিয়ে কামদেব মদনকে ভস্ম করেন। তার মস্তকে যে অর্ধচন্দ্র বিরাজ করে তা সোম এবং রুদ্রের একীভবনের বৈশিষ্ট্য। শিব তার সর্বাঙ্গে বিভূতি বা ভস্ম মাখেন।
শিব তার জটায় দেবী গঙ্গাকে ধারণ করে রেখেছেন। তার পূজার্চনা এবং মন্ত্র পাঠ করলে জীবনের সব কষ্ট মুহূর্তে বিনাশ হয়ে যায়। কোন ভুল ত্রুটি না করে শুদ্ধাচারে, শুদ্ধমনে ও শুদ্ধ পোশাক পরে তার পুজো করলে তিনি সন্তুষ্ট হন।
শিবকে একাধারে যোগী এবং গৃহী হিসেবে কল্পনা করা হয়। শিবের স্ত্রী পার্বতীকে তার শক্তির উৎস বলে ধরা হয়। এমতাবস্থায় শিবের পুজো করে যদি আপনি নিম্নোক্ত মন্ত্র জপ করতে পারেন তাহলে জীবনে যে কোনো সমস্যা দূর হবে। মন্ত্রটি হল
ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।