আমরা সকলেই জানি মহাদেবের কাছে যেতে গেলে অনেক কষ্ট করে যেতে হয়। বিশেষ করে কেও যদি কেদারনাথ যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকে তাহলে কতটা কষ্ট করে মহাদেব অব্দি পৌঁছতে হয় যিনি গেছেন তিনিই জানেন। এমন বহু মানুষ আছেন যারা অতটা পথ হেঁটে পেরোতে পারেন না বলেই যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারেন না। আর সেই সকল মানুষদের জন্য রয়েছে একটি বিশেষ খবর।
তাদের চিন্তার অবসান ঘটাতেই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার স্বপ্নের প্রকল্পে সবুজ সংকেত পেয়েছেন। তিনি অনেকদিন থেকেই চেয়েছিলেন এই দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার রাস্তাটা যদি কমানো যায়। আর তাই তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’ এর কাছে যে সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের মধ্যে যদি একটি রোপওয়ে তৈরি করা যায় তাহলে মাত্র ৮ মিনিটেই পৌঁছনো যাবে কেদারনাথ।
আর তার এই প্রস্তাব অবশেষে ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’ থেকে গ্রান্ট করেন। অবশ্য উত্তরাখণ্ড সরকার আগেই রোপওয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যের ‘ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’কে। জুনে মিলেছিল সম্মতি। বিষয়টি এরপর ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’-এর কাছে যায়। অবশেষে কেন্দ্রীয় বোর্ডের সম্মতি পেতেই আর কোনও বাধা রইল না।
আরো পড়ুন: দী’র্ঘ ২৭ বছর প’র ধনতেরাসে রয়েছে বি’শে’ষ যোগ, কতটা আ’লা’দা এবারের ধনতেরাস?
শিগগিরি ওই রোপওয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু কেদারনাথই নয় রাম্বাদা থেকে গরুরচট্টির মধ্যেও তৈরি হবে ট্রেক রুট। নিঃসন্দেহে এই খবরে অভিযাত্রী থেকে সাধারণ পর্যটক সকলেই খুব খুশি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম মারফত জানা যাচ্ছে, ওই রোপওয়ে প্রায় ১২ কিমি ধরে বানানো হওয়ার কথা হচ্ছে।
যাঁর জন্য মোট খরচ হতে পারে প্রায় ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। আর এর জন্য ২৬.৪৩ হেক্টর অরণ্যভূমি প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে। ওখানে মোট ২২টি টাওয়ার নির্মিত হবে। থাকবে চারটি স্টেশন- গৌরীকুণ্ড, চীরবাসা, লিঞ্চলি ও কেদারনাথ। তাই এবার থেকে কেদারনাথ যেতে আর এত কষ্ট করতে হবে না। প্রতিটা মানুষই যেতে পারবেন বাবা মহেশ্বরের কাছে। যা অত্যন্ত আনন্দের একটি খবর আপামর সকল পুণ্যার্থীর জন্যই।