সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাড়িতে তল্লাশির নামে ব্যবসায়ীর কয়েক লক্ষ টা’কা-গহনা নিয়ে চ’ম্প’ট দিলো খো’দ পুলিশ, চা’ঞ্চ’ল্য মালদায়

রক্ষকই ভক্ষক! চোর ডাকাতের হাত থেকে সম্পত্তি রক্ষা করতে সাধারণ মানুষ পুলিশের দ্বারস্থ হন। তবে সেই পুলিশি যদি চোর ডাকাতের মতো আচরণ করেন তাহলে তো কথাই নেই। সম্প্রতি মালদার কালিয়াচকের মহেশপুর এলাকাতে তল্লাশি চালানোর নাম করে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের একজন এএসআইসহ 3 জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। বেআইনি অস্ত্র মজুদ করে রাখার অভিযোগে রাত একটার পর এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয় কালিয়াচক থানার পুলিশ কর্মীদের একটি দল। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তল্লাশি চালানোর নাম করে তার বাড়ি থেকে নগদ 24 থেকে 25 লক্ষ টাকা এবং 30 থেকে 35 ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। এই ঘটনার খবর এলাকাতে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতির সঙ্গে সঙ্গে এসআইসহ দুজন কনস্টেবলকে ক্লোজ করার নির্দেশ দেন।

মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুত্রে খবর ওই ব্যক্তির ভিন রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহ এবং জমির ব্যবসা করে থাকেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার 4-5 জনের একটি দল জোর করে তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং তাকে মারধর করে বেঁধে রাখে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় পুলিশ। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন এদিন দুপুর পর্যন্ত তার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

তিনি ওই বাড়ি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন কালিয়াচক থানাতে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের ডেকে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তল্লাশির নামে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে ওই তিন পুলিশকর্মী বিরুদ্ধে। অস্ত্র না পেলেও নগদ টাকা এবং গয়না নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানাননি পুলিশকর্মীরা। এমনকি ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে পাওয়া টাকা এবং গয়নার কোনওরকম সিজার লিস্ট তৈরি করা হয়নি।