আপনাদের কি মনে হয়! ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে যে প্রসাধনীর প্রয়োজন তা যতই মূল্যবান হোক না কেন আমরা কি তা কিনতে কার্পণ্য করি? আমরা বরং অনবরত চেষ্টা করে চলি কি করে নিজেদেরকে সুন্দর রাখা যায়। বিশেষ করে বেশিরভাগ মেয়েরাই রূপচর্চাতে ভীষণই দক্ষ হয়। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র বাইরে থেকে নানারকম নামিদামি প্রসাধনী মাখলেই যে সৌন্দর্য বজায় থাকবে তা নয়, পাশাপাশি একটা সুনির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট ফলো করতে হবে। অর্থাৎ শুধু বাইরে থেকে নয়, সুস্থ থাকতে হবে ভেতর থেকেও। তবেই আপনার ত্বকে জৌলুস বজায় থাকবে।
সবুজ শাকসব্জিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ত্বকের জন্য অত্যাবশ্যক৷ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ব্রণ থেকে সুরক্ষিত রাখে আমাদের ত্বককে৷ বাদাম ও মাছে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ডায়েটে রাখা ভালো। ওমেগা থ্রি ও সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই এবং সি ডায়েটে থাকা খুবই প্রয়োজনীয়। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং কোলাজেনও খুব উপকারী।
আমরা সকলেই জানি, আমাদের ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখে ভিটামিন ই৷ এই সব পুষ্টিগুণকে একসাথে মিলিয়ে এমন একটা পানীয় তৈরী করতে হবে যা হবে স্বাদ ও সুস্বাস্থ্যের মেলবন্ধন। এই পানীয় যেমন একদিকে পুষ্টিকর, তেমনই অন্যদিকে শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে৷ তবেই সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না৷
এই পুষ্টিকর পানীয় তৈরী করতে হলে প্রথমে একটা পাত্রে কলা ও আনারস ছোট ছোট করে কুচিয়ে নিতে হবে৷ তারপর সেই কুচোনো ফলের সঙ্গে পরিমাণমতো সাদা তেল, ফ্ল্যাক্সসিড, আদা কুচি, এলাচ পাউডার এবং হলুদ মেশাতে হবে ৷ তারপর পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। ইচ্ছে হলে সামান্য মধুও যোগ করা যেতে পারে ৷
এই পানীয়তে যে যে উপকরণ মেশানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে দুধে উপকারী ফ্যাট এবং ভিটামিন থাকে৷ আদা ও হলুদে এমন উপাদান বেশি মাত্রায় রয়েছে যা বয়সের ছাপ রোধ করতে সক্ষম। ফ্ল্যাক্সসিডে আছে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড ৷ এই সমস্ত উপকরণগুলি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বক থাকে টানটান।