সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাওড়ার কারখানায় যা যা চলছিল তা দে’খে হতভম্ব পুলিশ, আপনি হ’য়’তো মুখেও তু’ল’বে’ন না!

মসলার কারবারি রাজেশকে বড়বাজারের পোস্টার নবাব লেন থেকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা ভেজাল মশলা তৈরি করার আসল ঠিকানা খোঁজার জন্য তৎপর হোন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার এই কারখানাতে হানা দেয় কলকাতার পুলিশের ইবি। সেই সময় ভেজাল মশলা তৈরি করার কাজ চলছিল সেখানে। আচমকা ইবির দলবল ওই কারখানাতে হানা দিলে সকালে কিছুটা হকচকিয়ে যায়। পুলিশ গ্রেফতার করে নরেশ কুমার কে।

কলকাতার বাইরে তাদের ভেজাল মসলা তৈরীর কারখানা ইতিমধ্যেই শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। ডোমজুড়ে ওই কারখানাতে 600 কেজি হলুদ গুঁড়ো এবং 300 কেজি লঙ্কা গুরু বাজেয়াপ্ত করে ইবি। সঙ্গে হলুদ মেশানোর জন্য 700 কেজি চাল এবং লঙ্কাগুঁড়ো সঙ্গে মেশানো 650 কেজি কাঠের গুঁড়ো বাজেয়াপ্ত করে তারা। বাজেয়াপ্ত করে হলুদ এবং লঙ্কায় রং করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং এর প্যাকেট।

এক দিকে প্রতিমুহূর্তে মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার অন্যদিকে একই সময়ে মানুষের শরীরে ভেজাল জিনিস ঢুকিয়ে দিয়ে ভয়ঙ্কর রোগ এবং অপুষ্টিজনিত ব্যাধি বাড়িয়ে দিচ্ছে কিছু সংখ্যক মানুষ। রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের এই অপরাধ চক্র যেখানে ধরার কথা, সেখানে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের রীতিমতো খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কি রাজ্য পুলিশ অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের থেকে। এইভাবে বহুদিন ধরে ডোমজুড়ের লক্ষণপুর এবং দেবী পাড়াতেই ভেজাল কারবারের বড় বড় কারখানা চলছিল দিনের পর দিন যা জানতে পারেনি সরকার।