সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পার্থদা আসলেই আমার ডিউটি শে’ষ, এতদিনে মু’খ খুললেন অর্পিতার গাড়ি চালক

সব শুরু হয়েছিল এসএসসির দুর্নীতি মামলাকে কেন্দ্র করে যার পরে এক এক তথ্য আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। উঠে আসে পার্থ চ্যাটার্জির নাম যার লেজ ধরেই পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণে টাকার হদিস। পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জির কয়েকটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় টাকার স্তুূপ সহ মোবাইল ফোন এবং কাগজপত্র সহ সোনা রুপার গহনা।

ইতিমধ্যেই ইডির হেফাজতে রয়েছে পার্থ চ্যাটার্জি এবং অর্পিতা মুখার্জি। সম্প্রতি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে অর্পিতা মুখার্জির গাড়িচালক প্রণব ভট্টাচার্যর যিনি জানুয়ারি মাস থেকে অর্পিতা মুখার্জির গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করছেন। এই কাজের জন্য কত পেতেন প্রণব সে বিষয়ে খোলাখুলি জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।

প্রণব জানান, “তিনি জানুয়ারি মাসে এই কাজে ঢোকেন কিন্তু তিনি কখনোই ভাবতে পারেননি যে এই ধরনের পরিস্থিতি তাকে কোনদিনও দেখতে হবে। পেটের টানে জন্য তিনি এই কাজ করতেন। অর্পিতা কোনদিনই প্রণবের বেতন আটকায়নি। সঠিক টাইমে তাকে বেতন দিয়ে দিতেন। প্রণব জানান তার ফোন এখনো পর্যন্ত ইডির কাছে জমা রয়েছে”।

আরো পড়ুন: আমাদেরও দেখার সু’যো’গ করে দিন! রণবীরের বি’ত’র্কি’ত ছবি নিয়ে বি’স্ফো’র’ক বিদ্যা বালান

এখন প্রশ্ন উঠছে গাড়ি করে অর্পিতা কোথায় যেতেন? অর্পিতা চালক জানান,” তিনি গাড়ি করে দুটি পার্লারে অর্পিতাকে নিয়ে যেতেন এবং কখনও কখনও পার্থদার কাছেও তিনি অর্পিতাকে নিয়ে যেতেন। তবে সেখানে অর্পিতাকে ড্রপ করে দিয়ে চলে আসতেন ,কোন কোন সময় আবার গাড়ি রেখে অটো করে চলে আসতেন।”

প্রণব জানান, গাড়িতে কোনোদিনও অসামাজিক কাজকর্ম হয়নি, সেই জন্যেই তিনি কখনোই এইসব সম্পর্কে ধারণা করতে পারেননি। যেদিন তল্লাশি চলে সে দিনই তাকে ডাকা হয় এবং আলাদা করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ম্যাডামজি সঙ্গে তিনি কি কি কাজে জড়িত সবকিছুই জানতে চাওয়া হয়। তদন্তকারীদের মাধ্যমে জানা গেছে অর্পিতার কাছে মার্সিডিজ, অডিও সহ আরো চারটি দামি গাড়ি ছিল কিন্তু সেই গাড়িগুলির এখন নেই এই বিষয়ে অর্পিতার গাড়িচালক প্রণব জানান,” যেদিন তিনি তে যোগদান করেছিলেন তখন এই গাড়িগুলো ছিল।

তবে তিন মাস ধরে এই গাড়িগুলো আর তিনি দেখতে পান না। শুধুমাত্র একটি হোন্ডা সিটি ছিল যে গাড়িটি তিনি চালাতেন, কিন্তু বাদবাকি দামি দামি গাড়ি গুলো কোথায় রয়েছে বা কোথায় সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।”

প্রণব জানান সামনে পুজো এবং এরই মধ্যে তার রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে সুতরা ভবিষ্যতে কি হবে সেটাই তার চিন্তা। অর্পিতা মুখার্জি ফ্ল্যাটে এত এত টাকার স্তুূপের কথা শুনে রীতিমত অবাক প্রণব তিনি জানান,” তিনি কখনোই এই ধরণের ঘটনার স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি।

কোনোদিন দিন ফ্ল্যাটে ঢোকেননি শুধুমাত্র ফ্ল্যাটে যে রান্নার ছেলেটি ছিল তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে তিনি চলে আসতেন। প্রণব জানান বহুবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পার্থদা যখনি আসতেন তখনই তাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হতো।”