সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গ্রে’ফ’তা’র হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এবার মু’খ খুললেন বাংলার অগ্নিকন্যা ববিতা সরকার

তদন্তের গ্যালারিতে একের পর এক ছক্কা মারছে ইডি। এক এক করে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। সবকিছুর সূত্রপাত হয়েছিল এসএসসির দুর্নীতিগ্রস্ত মামলা দিয়ে। এক এক করে এই দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। প্রকাশ পাচ্ছে এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতির নানা কেচ্ছা।

এসএসসি পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে একটা সময় কোচবিহারের ববিতা সরকার গর্জে উঠেছিল এবং মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অবৈধভাবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য গর্জে উঠে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনি কলকাতার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে একবারও ভাবেনি। নিজের লড়াই লড়বার জন্য তিনি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমে ছিলেন।

এই লড়াইয়ে অবশেষে তিনি জয়ী হয়েছিলেন কারণ এই লড়াইয়ে এসএসসির সংক্রান্ত দুর্নীতি যেমন গোটা রাজ্যবাসীর চোখের সামনে উঠে এসেছিল, তেমনি আদালত কেড়ে নিয়েছিলো অবৈধভাবে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরিও। নতুন করে আবার ইডির জালে ধরা পড়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি।

আরো পড়ুন: সব বিজেপির চাল, আমি কোনো অ’ন্যা’য় করিনি, দা’বি অর্পিতার

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জি ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গেছে কুড়ি কোটি টাকা, যার পরে গোটা বিষয় নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ইতিমধ্যেই পার্থ চ্যাটার্জির সহ অর্পিতা মুখার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন শিলিগুড়ি কোট মোড়ের বাসিন্দা ববিতা সরকার।

তার মতে ইতিমধ্যেই যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এবং এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তারা আবার নতুন করে একটা আশার আলো দেখবে । যারা মনে করেছেন বঞ্চিত হয়েছেন চাকরি থেকে তারা আবার নতুন করে আশার আলো দেখতে পাবেন।

ববিতা এই যুদ্ধের পর স্কুলে চাকরি পেয়েছেন এবং তার ইচ্ছা যেন তার বন্ধুবান্ধবরাও আগামী দিনে চাকরিতে যোগদান করতে পারেন। ববিতা জানান, দুর্নীতি যেভাবে হয়েছে,সেই দুর্নীতি করার জন্য যেন দুর্নীতিগ্রস্তরা উপযুক্ত শাস্তি পায়। তার মতে তার লড়াই সেই দিনই শেষ হবে যেদিন আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীরা তাদের চাকরি পাবে।

২০১৬ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর এসএসসির পরীক্ষা দিয়েছিলেন ববিতা সরকার। মেধাতালিকা প্রকাশ পেয়েছিল ২০১৭ সালের ২৭ শে ডিসেম্বর সেখানে তিনি ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে। যখন ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার পালা,সেই সময় তিনি আশা করেছিলেন যে চাকরি পাবেন।

প্রথম কাউন্সেলিংয়ে ২০ নাম্বারে ওঠে ববিতা সরকারের নাম কিন্তু দ্বিতীয় কাউন্সিলিংয়ে দেখা যায় যে তার নাম ২১ নম্বরে চলে গেছে এবং ম্যাজিকের মতো শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী নাম এক নম্বরে। এরপরে গর্জে ওঠে ববিতা। দ্বারস্থ হয় অঙ্কিতা চাকরি বাতিলের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে, এরপর শুরু হয় লড়াই।

সেই লড়াইয়ে জয়ী হয় ববিতা। মন্ত্রীকন্যার চাকরি ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং সেই জায়গাতেই চাকরি দেওয়া হয় ববিতাকে। দেওয়া হয় তাকে প্রাপ্ত বেতনের টাকা ও। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন তথ্য এই এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে উঠছে তাতে আগামী দিনে আরও কি নতুন তথ্য জানা যাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। আগামী দিনে কি পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে আরও কোনো প্রতিভাশালী মন্ত্রীদের নাম উঠে আসতে পারে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন।