সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নতুন বছর শু’রু হতেই কি পঞ্চায়েত ভোট?

ইতিমধ্যেই আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে কারণ, বৃহস্পতিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জেলাগুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয় এবং যা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের পঞ্চায়েতের নির্বাচনকে এগিয়ে আনার পক্ষে কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া সমস্ত জেলাগুলির পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিক এবং জেলাশাসকের সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে।

এই বিষয়টি শুরু হয় দু মাস আগে, যখন রাজ্যজুড়ে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছিল সাধারণত। ১০ বছরে একবার এই কাজ হয়। এই পঞ্চায়েতের নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। এবারে এই জেলার সীমানা পুনর্বিন্যাসের আসন সংরক্ষণের কাজ শেষ হয়ে গেছে।

আগামী ১৯ শে অক্টোবরের মধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণের খসড়া জেলা গুলিকে প্রকাশ করতে হবে, এবং এই খসড়া তালিকা নিয়ে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তবে তা জানাতে হবে ১৬ ই নভেম্বরের মধ্যে। তবে মনে করা হচ্ছে যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় নতুন বছরের প্রথমে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা ঘোষণা করেছে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্চ মাস পর্যন্ত পরীক্ষা শুরু হবে, যার কারণে মাইক বাজিয়ে প্রচার করার ব্যাপারটি স্থগিত রাখতে হবে, সেই কারণেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে এগিয়ে আনার কথা ভাবছেন, তবে সেটা যদি হয় তবে সেক্ষেত্রে শীতের মৌসুমে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো পড়ুন: দুর্গা পুজোয় বি’ভি’ন্ন স্থা’নে বিভিন্ন রী’তি, এখানে অষ্টমীতে পুরুষরা শাড়ি পরে না’চ করেন

ইতিমধ্যেই হাওড়া পৌরসভার আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তা খারিজ করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর জেলা পুরো নির্বাচনী আধিকারিকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং যেখানে উল্লেখ করা ছিল হাওড়া পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে সেটি যদিও এই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করার জন্য বিজেপি দ্বারস্থ হয় হাইকোর্ট এবং সেখানেই রাজ্য আদালত জানায় এই বিজ্ঞপ্তি চূড়ান্ত নয়। তার পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা এটিকে খারিজের নির্দেশ দেন।