সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ম’ল’দ্বা’র দিয়েও নাকি শ্বাস নেওয়া যা’য়! কি বলছে গবেষকরা?

ক্লিনিকাল অ্যান্ড ট্রান্সলেশনাল রিসোর্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনসাইটসে প্রকাশিত একটি গবেষণায় সম্প্রতি প্রকাশিত হল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন যে প্রাণীরা মলদ্বারের মাধ্যমেও নাকি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে!

এই গবেষণায় যুক্ত বিশেষজ্ঞদের কথায়, কচ্ছপের বিপাক প্রক্রিয়া চলে অত্যন্ত ধীর গতিতে। তাই তারই অনুকরণে শূকর ও ইঁদুরের উপর বিশেষ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দাবি করেন, কচ্ছপের অন্ত্রে থাকা শ্লেষ্মা বা মিউকাসের আস্তরণটি অত্যন্ত পাতলা। আর সেই কারণেই অন্ত্রে কোষগুলিতে অক্সিজেন খুব সহজেই সংস্পর্শে আসতে পারে।

এইভাবে কচ্ছপের পেটের ওই অঞ্চলের মাধ্যমে অক্সিজেনের আদান-প্রদান হয় বলে কচ্ছপ মলদ্বার ব্যবহার করেও কিছুটা শ্বসন প্রক্রিয়া চালাতে পারে। এ বার এই গবেষণাটি করার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রাণীগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করে প্রতিটি ভাগে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার পথ বন্ধ করে দেন।

আরো পড়ুন: খুবই কম খরচে বেডরুম কিভাবে সাজাবেন? ৩৫০০ টা’কা’য় ঘর গোছানোর উপায় বাতলে দিলেন টুইঙ্কেল খান্না

যেহেতু প্রথম দলের প্রাণীদের অন্ত্রের মাধ্যমে শ্বাস নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না তাই অক্সিজেনের অভাবে গড়ে ১১ মিনিটের মাথায় এই প্রাণীগুলির মৃত্যু হতে দেখা যায়।

এরপর দ্বিতীয় পরীক্ষায় অন্ত্রের মাধ্যমে শ্বসন প্রক্রিয়া চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। তখন দেখা যায় প্রাণীগুলি গড়ে প্রায় ১৮ মিনিট জীবিত ছিল।

আর তৃতীয় বারে প্রতিটি প্রাণীর অন্ত্রের মিউকাস কচ্ছপের মতো পাতলা করে দিয়ে মলদ্বারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। তখন ফলস্বরূপ দেখা যায় ৭৫ শতাংশ প্রাণী পরীক্ষা চলাকালীন জীবিতই ছিল।

এই ঘটনা থেকেই গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে অন্ত্রের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি মলদ্বারের মধ্য দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় তাহলে পশ্চাদ্দেশ দিয়েও শ্বসন প্রক্রিয়াও চালানো অসম্ভব নয়।

যদিও তাদের দাবি গবেষণার বিষয়টি এখন একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। আর তাছাড়াও মানুষের উপরে এই পদ্ধতি আদৌ কাজ করবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় তারা।