সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আবাস যোজনায় একটি ব’ড়ো ছেলের আরেকটি ছোট ছেলের, যু’ক্তি পঞ্চায়েত প্রধানের

ফের একবার উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমানের গলসির এক নম্বর থানার ব্লকের রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। কারণ হিসেবে জানা যায় সেই অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা রুইদাসের নামে অভিযোগ রয়েছে। কি সেই অভিযোগ আসুন জানা যাক : ২০১৬ সালে তিনি গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি পান সেটি আসে পম্পার রুইদাসের শ্বশুর গোরাচাদ রুইদাস। যদিও তিনি তখন তা নেন নি সেই সময় কারণ হিসেবে তিনি জানেন তিনি সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন।

আবার পুনরায় ২০১৮ সালেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে তাঁর নাম আসে তবে এবারের নাম আসে তাঁর ছেলে দেবাশিস রুইদাসের নামে কিন্তু এবারে তিনি সেই বাড়ি নিতে আগ্রহী।আর এই নিয়েই বিভিন্ন চাপানোতর তো শুরু হয়েছে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে অবশ্য জানান বড় পদ পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু তার সামর্থ্য তেমন নেই।

দুই ছেলের জন্য বাড়ি চাই। তবে এক্ষেত্রে মুখ খুলেন পম্পার উদাসের স্বামী সন্ন্যাসী রুইদাসও। তিনি বলেন অন্য কোন পার্টি বা দল এলে তাদের আর কেউ পাত্তা দেবে না। আপাতত এই সমস্ত উক্তিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি অবশ্যই এক্ষেত্রে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি। তাঁরা বলেন তৃণমূলরা নিজেরাই টাকা আত্মসাৎ করবার প্রচেষ্টায় রয়েছেন।

আরো খবর: আজ যীশুখ্রিস্টর জন্মদিন, উৎসবের দিনটি আপনার কেমন কা’ট’বে জেনে নিন, রইলো রাশিফল (25.12.2022)

যদিও এ প্রসঙ্গে বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ১৭ দফা নিয়ম বাড়ি হচ্ছে কিনা সেই দিকে তারা নজর রাখছেন। সমস্ত রকম তালিকা তৈরি করে তাঁরা পাঠাবেন। প্রয়োজনে টাকা ফেরত এর ব্যবস্থা করবেন তাঁরা।

যদি ওই ক্ষেত্রে তৃণমূলের পাল্টা দাবি বিজেপির শুধু একটি মাত্রই কাজ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আর কটাক্ষ করা। এবারও তার অন্যথা হয়নি। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস এ প্রসঙ্গে বলেন বিষয়টি কোন ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়।

সমস্তটাই প্রশাসনিক মহলের দ্বারা স্কুটিনি হচ্ছে। একমাত্র যোগ্যরাই এই বাড়ি পাবেন। আশা করা যায় এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। তাই এখনই এত বাদানুবাদের প্রয়োজনীয়তা নেই।