মাঝে আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরেই স্বাধীনতা দিবস পালন করবেন আপামর ভারতবাসী। চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা অভিযান চালিয়েছিলেন বিদ্রোহী কৃষকেরা। লালকেল্লায় পৌঁছে ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা। এমনকি লালকেল্লায় উত্তোলিত পতাকার ঠিক পাশেই তারা নিজেদের পতাকা উত্তোলন করে কার্যত লালকেল্লা অপমান করেছেন বলে দাবি করেছিলেন নিন্দুকেরা।
পুলিশ এবং কৃষকদের খণ্ডযুদ্ধের ঘটনা কার্যত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই দিন। তবে আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে এই ধরনের কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানোর জন্য বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এবার অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। উল্লেখ্য প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো জাতীয় দিবসগুলিতে দেশে জঙ্গি হানার আশঙ্কা থাকে। ইতিপূর্বে বহুবার এমনটা হয়েছে। আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে যাতে লালকেল্লায় এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে তার জন্য শিপিং কন্টেনার দিয়ে দেওয়াল তৈরি করা হচ্ছে।
এই দেওয়াল লালকেল্লাকে সুরক্ষিত রাখবে। চাঁদনী চক থেকে এবার আর লালকেল্লা দেখা যাবে না। শিপিং কন্টেনার গুলির গায়ে আঁকা থাকবে দেয়াল চিত্র। এই ভাবেই কার্যত লালকেল্লাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলতে উদ্যোগী কেন্দ্র। উল্লেখ্য ইদানিং কাশ্মীরে বেশকিছু উড়ন্ত ড্রোনের গতিবিধি টের পাওয়া গিয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এমন উড়ন্ত ড্রোন পাঠিয়ে ইতিপূর্বে বহুবার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ভারতের শত্রুরা।
স্বাধীনতা দিবসে যাতে সেই ধরনের হামলা এড়ানো সম্ভব হয় তার জন্য লালকেল্লার বাইরে সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য নতুন কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক আন্দোলন এখনো চলছে। কৃষকেরা কেন্দ্রের প্রণীত কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে অনড়। তবে কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য কৃষকদের দাবি মানতে এখনো নারাজ। তাই দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলনের আঁচ এখনো কমেনি।