দেবাদিদেব মহাদেব ও দেবী দুর্গার প্রিয় কন্যা সরস্বতী মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে মর্ত্যলোকে পূজিতা হন। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীত-কলা বিভাগের দায়িত্ব যিনি একা হাতে সামলাচ্ছেন তাঁর নাম দেবী সরস্বতী। শ্রীপঞ্চমীর দিন অতি প্রত্যুষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের গৃহ ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়।
সন্ধ্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়। বিশেষত শিক্ষার্থীদের জন্যে সরস্বতী পুজো খুবই স্পেশাল। সকাল থেকেই উপোস থেকে বাগদেবীর উদ্দেশ্যে অঞ্জলি দেন তারা। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞানের প্রার্থনা করেন বাগদেবীর কাছে।
আরো পড়ুন:নিরাপত্তারক্ষীর চোখে ধু’লো দি’তে প্রেমিকাকে স্যুটকেসে লু’কি’য়ে পালানোর চে’ষ্টা যুবকের
তবে এই দিনে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা ভুল করেও করা উচিত নয়। এই বিশেষ দিনে ছোট বাচ্চাদের পুজো করা ছাড়াও কোনও নতুন কাজ শুরু করা, বাচ্চাদের মুণ্ডন, অন্নপ্রাশন সংস্কার, গৃহপ্রবেশ, হাতে খড়ি দেওয়া ইত্যাদির বিশেষ যোগ রয়েছে। বসন্ত পঞ্চমীকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই বিদ্যার সঙ্গে সারা বছর আটকে থাকতে বসন্ত পঞ্চমীতে এই কাজগুলো করবেন না।
১। বহুদিন ধরেই সরস্বতী পুজোর দিন হলুদ রঙের পোশাক পরার প্রথা চালু রয়েছে। বসন্ত পঞ্চমীর সঙ্গে হলুদ রঙ যেন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে। আসলে হলুদ রঙ হল সমৃদ্ধি, আলো ও ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। এই বসন্ত পঞ্চমীর দিনে স্নান না করে কখনই খাবার খাওয়া উচিত নয়, এটি করা অশুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে সবাইকে স্নান করতেই হবে।
২। বসন্ত পঞ্চমীর দিন বাড়িতে কেউ মাংস-মন্দির ভক্ষণ করবেন না।
৩। বসন্ত পঞ্চমীর দিন জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়, তাই কারও খারাপ ভাবা বা খারাপ করা উচিত নয়।
৪। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে বসন্ত পঞ্চমীর দিনে হলুদ রঙের পোশাক পরা শুভ। এছাড়া এই দিনে ভুল করেও কালো বা লাল রঙের পোশাক পরা উচিত নয়।
৫। বসন্ত ঋতুও বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে শুরু হয়। এ অবস্থায় গাছ-গাছালিতে নতুন কুঁড়ি গজাতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে এই বিশেষ দিনে গাছ-গাছালি কাটা উচিত নয়।