অবশেষে নিলামে দর উঠল ২৫ লক্ষ টাকা। এবার প্রশ্ন জাগতেই পারে কিসের নিলাম? শুনলে অবাক হবেন লাড্ডুর নিলাম পর্ব, যে লাড্ডুর ওজন প্রায় ২১ কেজি। শুক্রবারে এই লাড্ডুর নিলাম পর্ব শুরু হয়েছিল আর তাতেই শেষমেশ দাম উঠেছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে প্রতি বছরই হায়দ্রাবাদের বালাপুরে এই বিশালাকার লাড্ডু তৈরি হয় এবং এই লাড্ডু পরে নিলামে বিক্রি করা হয়।
এই পর্বটি শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সালে,সোনার লাড্ডু তৈরি হয়েছিল যে লাড্ডুর দাম উঠেছিল সেই সময় ৪৫০ টাকা। তারপর থেকেই এরপর পথচলা শুরু ২০২১ সালে। যখন ২১ কেজির লাড্ডু বানানো হয়েছিল যার দাম উঠেছিল ১৯ লক্ষ টাকা। সেখানকার উদ্যোক্তারা জানান যে এই প্রথমবারের জন্য লাড্ডুর দাম উঠেছে ২০ লক্ষ টাকারও বেশি। কিন্তু এই লাড্ডুকে সোনার লাড্ডু বলা হয় কেন? এর পেছনেও রয়েছে এক প্রচলিত মিথ।
বালাপুরের বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন তাদের জীবনের সমস্ত উন্নতির জন্য পুজোর এই লাড্ডুর অনেক অবদান আছে। তাই তাঁরা এই লাড্ডুকেই বঙ্গারু লাড্ডু বা সোনার লাড্ডু বলেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই লাড্ডুর কথা শুনে চমকে গিয়েছেন কারণ সচরাচর আমরা দোকানে যে লাড্ডু কিনে থাকি তার দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং খুব বেশি হলে হয়তো ৫০ টাকা।
আরো পড়ুন: পুজোর আ’গে বি’রা’ট অ’ফা’র এই ব্যাংকের, ফিক্সড ডিপোজিটের ম’তোই সু’দ পাবেন Savings Account-এ
কিন্তু লক্ষাধিক টাকার মূল্যের লাড্ডু কেউ কখনো চোখেই দেখেনি, তাই বিশ্বাস করা অনেকটাই কঠিন। কিন্তু এটি বাস্তবে একদম সত্যি। প্রতি বছর গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে হায়দ্রাবাদে এই লাড্ডু তৈরি হয় এবং পরে বিক্রিও করা হয়। প্রথমে নিলাম শুরু হয়েছিল ১১১৬ টাকা থেকে পরে গিয়ে সেটা দাঁড়ায় ২৬ লক্ষ ৭ হাজার টাকা হাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী।