সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

OMG: স’ঙ্গ’মে’র পরেই না’কি মৃ’ত্যু ঘ’টে পু’রু’ষ পিঁপড়া

পৃথিবীর সবথেকে ক্ষুদ্র কিন্তু দলবদ্ধ জীব হলো পিপড়ে। ভীষণ পরিশ্রম এই ক্ষুদ্র প্রাণীটি। দিনের বেশিরভাগ সময় এরা খাদ্য সঞ্চয় করে এবং রাতে নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে পড়ে। পৃথিবীতে 12 হাজার প্রজাতির আছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। এই ক্ষুদ্র প্রাণীটির সম্পর্কে জানতে গেলে অনেক কিছুই আমাদের আশ্চর্য করে দেবে। চিত্রলিপি পরের জন্ম থেকেই ক্ষমতা প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার। চলুন জেনে নেয়া যাক পিপড়ের কিছু বিস্ময়কর ক্ষমতা।

রানী পিঁপড়েরা ডিম দেয়, আর কোনো কাজ থাকে না এদের। অনেকটা ঠিক রানী মৌমাছির মতো। পুরুষকে পড়ে রানী পিঁপড়ের সঙ্গে সঙ্গম করে মরে যায়। তখন সব কাজ একা রানী পিপীলিকা সামলায়। কোন কোন পিপীলিকা ডিমের যত্ন নেয় কেউ আবার বাসা তৈরি করে। কেউ কেউ আবার বিপদাপদের জন্য খাদ্য সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকে। পিঁপড়ের মাথায় দেখবেন একজোড়া আন্টি না থাকে যা দিয়ে তারা গন্ধ নির্ণয় করতে পারে এবং দিক নির্ণয় করতে পারে। আছে দুটি শক্তিশালী চোয়াল। এই চোয়াল এতটাই শক্তিশালী যে শরীরের থেকে ২০ থেকে ৫০ গুন ওজনের বস্তু টানতে সক্ষম হয় সে। এই চোয়াল দিয়ে ডিগবাজি খেয়ে অন্যত্র চলে যেতে পারে সে।

পিপীলিকা একে অপরের সঙ্গে শব্দ এবং স্পর্শের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে। এছাড়াও শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, পাখার স্পন্দন, শ্বাসনালীর শব্দ এবং এন্টিনার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে সে। পিঁপড়ে যে ঘর তৈরি করে তাতে বেশ কয়েকটি কুঠুরি থাকে। কোন টি ডিম রাখার জন্য, কোন টি খাদ্য সংরক্ষণের জন্য, আবার কোনোটি আবর্জনা রাখার জন্য। গন্ধযুক্ত পথ ধরে উল্টো পথে খাবারের উৎস স্থলে পৌঁছে যাবার ক্ষমতা রাখে পিপীলিকা। যতবার পিঁপড়ে খাবার নিয়ে আসে ততবার গন্ধ যুক্ত পদার্থ ছড়াতে থাকে। এইভাবে কোনো পিপড়ে ওই পথে হাঁটবে খাবার পাওয়ার সম্ভাবনা যে বেশি তা বুঝতে পারে তারা। আবার খাবারের উৎস শেষ হয়ে গেলে গন্ধ ছড়ানো বন্ধ করে দেয় পিপড়ে।

পদক্ষেপ গণনার মাধ্যমে বিভিন্ন কতদূর অতিক্রম করল তা বুঝতে পারে। কোন দিকে অগ্রসর হল তা সূর্যের অবস্থান থেকে এবং আশেপাশের বস্তুর অবস্থান দেখে নির্ণয় করতে পারে সে। বিপদে পড়লে মুখের গ্রন্থি থেকে বিপদবার্তা পাঠায় সে। দুটি পাকস্থলী থাকে পিপিলিকার। একটি নিজস্ব অন্যটি সামাজিক। এই সামাজিক পাকস্থলীর খাবার অন্য পিঁপড়েকে দিয়ে সাহায্য করে সে। তারা এতটাই বুদ্ধিমান হয় যে, যখন বন্যা হয় তখন রানীকে মাঝখানে রেখে একে অপরকে জাপটে ধরে। তারপর বড় কুণ্ডলী অথবা ভেলা তৈরি করে জলের উপর ভাসতে ভাসতে বাঁচার চেষ্টা করে। গ্রীষ্মকালে পিঁপড়ে বেশি খেয়ে পেটে চর্বি জমিয়ে রাখে যাতে শীতকালে কোথাও না বেরোলেও মাসের-পর-মাস বেঁচে থাকতে পারে তারা। এতো কিছু বুদ্ধি শুধুমাত্র ঐটুকু শরীরে কিভাবে যে রাখে তা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়।