সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

WhatsApp: চে’না ছবি’ দিয়ে DP, ফাঁ’দ পে’তে’ছে প্র’তা’র’ক’রা, পা দিলেই হারাবেন লক্ষ লক্ষ টা’কা

সোশ্যাল মিডিয়া ঠিক যতটা আমাদের উপকারে লাগে, আগে পিছু না ভেবে সোশ্যাল মিডিয়ার জালে ভুলবশত পা ফেললে ততটাই বিপদে পড়তে হয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করে ঘটছে বিভিন্ন প্রতারণামূলক ঘটনা। হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ আসছে অচেনা নম্বর থেকে। কিন্তু তার ‘ডিপি’র ছবিটি খুব পরিচিত এক অত্যন্ত প্রিয় বন্ধুর। আর সেই ‘বন্ধু’র দাবি, এটি তার নতুন মোবাইল নম্বর। কিছু দিন পর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে নতুন নাটক। ‘বন্ধু’টি জানায়, সে অত্যন্ত বিপদে রয়েছে। তার টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ‘বন্ধু’র পাশে দাঁড়াতে গিয়ে যদি তাকে টাকা পাঠান তাহলেই কিন্তু পড়তে হবে জালিয়াতের ফাঁদে। হোয়াটসঅ্যাপের ‘ডিপি’তে বহুদিনের পুরনো বন্ধু বা পরিচিত ব্যক্তির ছবি থাকলেও ঘনাতে পারে বিপদ। সম্প্রতি এই ব্যাপারে শহরবাসীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্ক করেছে লালবাজার। লালবাজারের এক কর্তা জানান, ওই ‘বন্ধু’ বা পরিচিত ব্যক্তির কথা শুনে যেন কোনওমতেই কেউ টাকা না পাঠান, সেই ব্যাপারেই সতর্ক করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কিছু অভিযোগ লালবাজার ও কয়েকটি থানায় জমা পড়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যথেষ্ট খোঁজখবর নিয়েই ‘শিকার’ বেছে নিচ্ছে জালিয়াতরা। মূলত সেই ব্যক্তি বা মহিলার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটছে তারা। বেনামে নেওয়া নতুন মোবাইল নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তির তৈরি করা হচ্ছে সেই হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই তারা জেনে নিচ্ছে ‘শিকারে’র যাবতীয় তথ্য। এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, পুরনো বন্ধু বা অত্যন্ত পরিচিত কারও ডিপি হোয়াটসঅ্যাপে দেখে অনেকেই সন্দেহ করেন না। সেই সুযোগ নিয়ে জালিয়াতরা দু-একদিন হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজে মামুলি কথাবার্তা চালায় অভিযোগকারীর সঙ্গে। এর পরই হঠাৎ জানায়, সে অথবা তার পরিবারের কোনও লোক ভরতি রয়েছে হাসপাতালে। অথবা, কখনও জানায়, সে বাইরে গিয়ে বিপদে পড়েছে। তার হাতে টাকা নেই। এখন কিছু টাকা পাঠালে পরে সে টাকা ফেরত দিয়ে দেবে। অনেকেই সেই ‘বন্ধু’র পাশে দাঁড়াতে গিয়ে টাকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

তাঁকে একটি বিশেষ ই-ওয়ালেট অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়। টাকা পাঠানোর পর ওই ই-ওয়ালেট অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় জালিয়াত। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, টাকা পাঠানোর পর ডিপির ছবি তুলে নেয় জালিয়াতরা। আবার কখনও অভিযোগকারীকে ‘ব্লক’ও করে দেওয়া হয়। সন্দেহের বশে ওই নম্বরে ফোন করলেও কাউকে পাওয়া যায় না। তখন ওই বন্ধু বা পরিচিতর আসল মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানা যায়, তিনি জালিয়াতের ফাঁদে পা দিয়েছেন। গোয়েন্দাদের মতে, কয়েক বছর আগে একই পদ্ধতিতে পরিচিত ব্যক্তির নামে ভুয়ো ই-মেল পাঠিয়ে জালিয়াতি করত নাইজেরীয় জালিয়াতরা। তাই এই জালিয়াতির পিছনে ওই বিদেশি জালিয়াতরা রয়েছে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।