বলিউডের এক অন্যতম দক্ষ অভিনেতা ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা ওম পুরী। তাকে চেনেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। ওম পুরী অভিনীত বেশীরভাগ সিনেমাতেই দর্শক পেয়েছে সামাজিক বার্তা। বলিউড থেকে হলিউড দুই সিনেমা জগতেই এক সময় চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৫০ সালের ১৮ অক্টোবর অম্বালায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ওম পুরী আর তার শৈশব কেটেছিল তংহালিতে।
তবে অভিনেতার শৈশব জীবন আড়ম্বরপূর্ণ ছিল না। অনেক অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে তার শৈশব কেটেছে। আর সেই জন্য ই একসময় তিনি হোটেলে বাসনও মেজেছেন। তবে সিনেমা জগতে আসার পর তার নামডাক সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। নিজের অভিনয়ের জাদুতে সকলের মুগ্ধ করলেও এই অভিনেতার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক।
মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, এই বর্ষীয়ান অভিনেতা মাত্র ১৪ বছর বয়সেই চাকরাণীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি ওম পুরী দুবার বিয়ে করেছিলেন। অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী নন্দিতা পুরী ওনার জীবনের ওপর একটি বই লিখেছিলেন। সেই বইটির নাম ‘আনলাইকলি হিরো:দ্য স্টোরি অফ ওম পুরী’। এই বইটিতেই ওম পুরীর জীবন সম্বন্ধে বিশদে বর্ণনা আছে। তবে প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই বইটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
জানা যায় এই বইতে অভিনেতার শৈশব থেকে বুড়ো বয়স পর্যন্ত জীবনের নানা পর্বের একাধিক কীর্তি ফাঁস করেছিলেন নন্দিতা। এমনকি মাত্র ১৪ বছর বয়সে ৫৫ বছর একটি চাকরাণীর সাথে সম্পর্কের কথা এই বই থেকেই জানা যায়। এ প্রসঙ্গে ওম পুরী বলেছিলেন এটা কি ১৪ বছরের শিশুর দোষ নাকি ওই ৫৫ বছরের চাকরাণীর।
নন্দিতা এও দাবি করেন, ওই চাকরাণীই ওম পুরীর জীবনের প্রথম ভালোবাসা। আর এখানেই শেষ নয়, ৩৭ বছর বয়সী ওম পুরী এমন একজন মহিলার সাথে সম্পর্কে ছিলেন যিনি তার বাবার অসুস্থতার সময় তার দেখাশুনা করতেন। ওই মহিলা প্রসঙ্গে একবার ওমপুরি জানিয়েছিলেন যে উনি আমার জন্য শুধুই একজন চাকরানী ছিলেন না। পরে এই বই নিয়ে নন্দিতার সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ওম পুরী। কারণ ওম পুরীর অভিযোগ ছিল এই বইয়ের মাধ্যমে নন্দিতা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে তাঁর ফ্যানদের কাছে ছোটো করে দিয়েছিলেন।