বাংলার বিজেপি সংগঠনের ওপরে আর কোনো ধরনের আস্থা নেই আর এস এসের। ইতিমধ্যেই সেই খবর সামনে এসেছে। কারণ নেতাদের এক গুয়ে আচরণ, এক তরফা সিদ্ধান্ত বাংলায় বিজেপি সরকারকে একেবারে ডুবিয়ে দিচ্ছে।এমনটাই রিপোর্ট জমা পড়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের রিপোর্ট দেখে চক্ষু একেবারে চড়ক গাছ হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। যার কারণে খুব তাড়াতাড়ি করে বাংলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিতাভ চক্রবর্তীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু সেখানে আবার নয়া একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আসল কথা একটাই মনগড়া কোনো রিপোর্ট নয়, এই রিপোর্টের তথ্য স্বচ্ছ হতে হবে।
গোটা রাজ্য ঘুরে সঠিক জিনিস তুলে ধরতে হবে। বাংলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর কাছে যখন সর্বভারতীয় জেপি নাড্ডার নির্দেশ পৌঁছেছে , তারপরেই একেবারে বঙ্গ বিজেপি একেবারে নড়েচড়ে বসেছে। এর পর থেকেই ফের নতুন রিপোর্ট তৈরী করার কাজে লেগে গেছে সমস্ত কর্মীরা।
আরো পড়ুন: বয়সকালে অ’ভা’ব হবে না টা’কা’র! সরকারি এই স্কী’মে বিনিয়োগ করলে উপার্জন হবে মোটা টা’কা
শুধু কি রিপোর্টে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী? শুধু কিন্তু সেটা নয়। তাঁর সাথে বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাদের সম্পর্কেও সবিস্তারে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঠিক সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত কিছু রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই এক বড় ধরনের বদল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
যদি পেছনে ঘুরে দেখা যায় তাহলে লক্ষ্য করা যাবে, অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, প্রধানমন্ত্রী সহ সবার তৈরী করা বঙ্গ বিজেপির সংগঠন একেবারে ধরাশায়ী। সময়ের সাথে সাথে আরও যেন বেশী অবনতি ঘটে চলেছে সংগঠনের। নিজেদের দলের মধ্যেই কোন্দল। জনসমর্থনের গ্রাফ একেবারেই নিচের দিকে। উপনির্বাচনের জন সমর্থন একেবারেই নিচের দিকে নামছে।
চলছে একে অপরের গায়ে কাদা ছোড়াছুড়ি। এক কথায় বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের বেহাল দশা। জন সমর্থন যেন দিনের পর দিন কমেই চলেছে। তাহলে কি বাংলায় একেবারে বিজেপি আর উঠে দাড়াতে পারবে না? এখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, আরেক দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের দুজনের এক তরফা সিদ্ধান্তে অএঙ্ক বিজেপি নেতাকে মুখ খুলতে দেখা গেছে।
যার মধ্যে দিলীপ ঘোষ, লকেট চ্যাটার্জী, রাহুল সিনহারা অন্যতম। যার কারণেই দলের মধ্যে ছাড়াছাড়ি বেশী হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। তাছাড়া অনেকেই নীরব প্রতিবাদের মাধ্যমে দল থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়িয়ে নিচ্ছে। এবার উপনির্বাচনের প্রচারে দেখা যায় নি অনেক কয়েকটি চেনা মুখ। যেসব খবর সব যাচ্ছে দিল্লিতে। গত এক বছরের মধ্যেই এমন ভাঙ্গন, যার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।