হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল সকলের প্রিয় অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ভেঙে পড়েছিলেন রাহুলের মা। কিন্তু একি! বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছে রাহুল। তাহলে এইরকম একটি ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে দিল কে? চলুন জেনে নেওয়া যাক আসলে কি ঘটনা ঘটেছিল।
আমরা সকলেই জানি, স্টার জলসা দেশের মাটি ধারাবাহিকের রাজা চরিত্রে অভিনয় করছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধারাবাহিকে একটি দৃশ্য দেখানো হয়েছিল, অপছন্দের পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আত্মহত্যা রাস্তা বেছে নিয়েছে রাজা। নিতান্তই সিরিয়ালের চরিত্রের খাতিরেই দেখানো হয়েছে এই দৃশ্য।
কিন্তু বাংলার এক সংবাদমাধ্যম তিলকে তাল করে ফেলেছেন। রিল এবং রিয়েল কে একসাথে মিলেমিশে একাকার করে ফেলেছেন। রাহুলের অনস্ক্রিন আত্মহত্যার খবর এমনভাবে প্রকাশ করে ফেলেছেন যে, সকালে ভেবেছিলেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো আত্মহত্যা করেছেন। খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তার মা।
স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপারটা মোটেই ভালোভাবে নেননি অভিনেতা রাহুল। এইরকম একটি বিভ্রান্তিকর খবর কি করে ছাপা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি বলেছেন, খবরটি জানার পর থেকে আমার মা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তিনি ভেবেছিলেন পুরো ঘটনাটা সত্যি।
আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা, এই লাইনটি শিরোনামে তুলে ধরে খবরটি ছাপা হয়েছিল। সাথে দেওয়া হয়েছিল অভিনেতার একটি ঝাপসা ছবি। রাহুলের বাবা মা যেহেতু নেট মাধ্যমের সঙ্গে নিত্যদিন যুক্ত থাকেন,
তাই এই খবরটি সকলের আগে তাদের কাছে ধরা পড়ে। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে তারা ছেলেকে ফোন করেন এবং সম্পূর্ন ঘটনাটি জানতে পারেন।
সম্পূর্ণ ব্যাপারটি নিয়ে ক্ষুব্ধ রাহুল বলেন, আমি ক্লিক বাটন শব্দের মানে জানি। কিন্তু আমার বাবা-মা অথবা আমার অন্যান্য কাছের মানুষেরা জানেন না। তাই শিরোনাম পড়েই রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। এটি কোন মিম হলে নিশ্চয়ই আপত্তি করতাম না। কিন্তু এই ধরনের মিথ্যা খবর প্রকাশ করার প্রতিবাদ অবশ্যই আমি করব।
রাহুলের এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ পরিমাণে সমর্থন করেছেন কবি শ্রীজাত, পরিচালক অর্জুন দত্ত এবং পরিচালক দেবারতী ভৌমিক। অভিনেতা কে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। কিছু মানুষ আবার এই বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেতাকে।