করোনাকে ঠেকাতে সারা দেশ জুড়ে চলছে টীকাকরণ। তার জন্য কোভিড সেন্টারগুলোতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছে। বিশেষ করে বয়স্ক, অসুস্থ মানুষদের। তাই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে এই ধরনের বয়স্ক, অসুস্থ ও দিব্যাঙ্গদের চিহ্নিত করে বাড়িতে গিয়ে তাঁদের টিকাকরণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার কোভিড সতর্কতা নিয়ে আরও একগুচ্ছ নিয়ম-নির্দেশিকা মানার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। সামনেই আসতে চলেছে একাধিক জাকজমকপূর্ণ উৎসব। এই মরশুমের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। যাতে আর কোনভাবেই করোনার করাল গ্রাসে মানুষকে আর না ভুগতে হয় তার জন্য কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দেশজুড়ে এখন উৎসবের মরশুম। নির্দেশিকাতে বলা হয়, যে সব জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি, সেখানে কিছুতেই জনসমাবেশ করা যাবে না। যেসব এলাকায় হার পাঁচ শতাংশের কম, সেখানে তবু উৎসব চলতে পারে, কিন্তু অত্যন্ত কড়াভাবে মেনে চলতে হবে বিভিন্ন কোভিডবিধি।
গণেশ পুজো দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়েছে ঠিক ই কিন্তু এরপর একে একে আসতে চলেছে আরও অন্যান্য উৎসব। মহারাষ্ট্রে গণেশ বিসর্জনের পর বেড়েছে সংক্রমণ। আবার আগামী মাসেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। এছাড়াও উত্তর ভারতে চলছে নবরাত্রি, দশেরার প্রস্তুতি। উৎসবের মরশুম হওয়ায় বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা উৎসবে মাতবে মানুষ। একে একে ইদ, করবা চৌথ, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি (Diwali), ভাইফোঁটা, ছটপুজো, গুরু নানক জয়ন্তী, বড়দিন ও তারপর নববর্ষ। উৎসবের কারণে জনসমাগম হবে।
জনসমাগম এর কারণে বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ। এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ইতিমধ্যেই অনুরোধ, উপদেশ, নির্দেশিকা জারি করা চলছে। শুধু তাই নয়, করোনার তৃতীয় তরঙ্গও নাকি আসতে বেশি দেরী নয়। তাই আগে থেকেই মানুষকে সাবধান ও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এই আবহে দেশবাসীকে সংযত করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভুষণ।
