1995 সালের ২রা জুলাই রাজধানীর বুকে এমন একটি খু’নে’র ঘটনা ঘটে যাওয়া কার্যত সারাদেশকে অবাক করে দিয়েছিল। বীর প্রতীক রায় এবং সন্দেহ যে কত ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে তা ধরা পড়েছিল তন্দুর কাণ্ডে। নয়না সাহানি নামের একজন মহিলাকে হ’ত্যা করেছিলেন তার স্বামী। তাও অত্যন্ত নিষ্ঠুর উপায়ে।
নয়না ছিলেন যুব কংগ্রেসের সদস্য। তার স্বামী সুশীল শর্মাও একই দলে কাজ করতেন। পরকীয়া, তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি, সন্দেহ এবং পারিবারিক অশান্তির কারণে খু’ন হতে হয়েছিল নয়নাকে। স্ত্রীর আচরণে সন্দেহ বেড়েছিল তার। দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হতে হতে একদিন নয়নাকে গুলি চালিয়ে দেন সুশীল।
এর মধ্যে একটি গুলি লেগেছিল নয়নার গলায়, অন্যটি তার মাথায় লেগে ছিল। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তিনি শহরের একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে নয়নার দেহ টু’ক’রো টু’ক’রো করে কেটে ফেলে মাখন লাগিয়ে তন্দুর ওভেনে পোড়ানো হয়। সে সময় দুই পুলিশ কর্মীর নজরে পড়ে যায় এই দৃশ্য এবং তীব্র পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
পুলিশের সন্দেহ হতেই তারা ভেতরে ঢুকে দেখেন ওই দৃশ্য। দিল্লি নিম্ন আদালত হাইকোর্ট থেকে ফাঁ’সি’র নির্দেশ দিয়েছিল সুশীলের। যদিও কিছুটা সা’জা’র পরিমাণ কমিয়ে তাকে যা’ব’জ্জী’ব’ন কা’রা’দ’ণ্ডের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।