সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শাস্ত্রমতে যে সব মানুষের মধ্যে এই কয়টি বদভ্যাস আ’ছে তাদের ঘরে মা লক্ষ্মী কখনই থা’ক’তে চান না!

প্রত্যেকেই চান মা লক্ষ্মী তার বাড়িতে যেন সুখে শান্তিতে বিরাজ করেন। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে মানুষের জীবন সৌভাগ্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এককথায় ধন-সম্পত্তি ও সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী।

আর সকল মানুষই চায় জীবনে অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধশালী হতে। অনেকেরই ধারণা অর্থ দিয়ে বুঝি সুখ কেনা যায়। কথায় বলে, জীবনে যার অর্থ আছে তার সবকিছু আছে। অর্থের প্রতি কোনো মোহমায়া নেই এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

খুব শান্তভাবে সব নিয়ম মেনে মায়ের আরাধনা করলে মা বিশেষ সন্তুষ্ট হন। হিন্দুশাস্ত্র মতে মা লক্ষ্মীর পুজো করলে পরিবারের মঙ্গল হয়, এবং ঘরে অন্ন, অর্থ ও সৌভাগ্য কোনোকিছুর অভাব থাকে না। ঘরবাড়ি বিপুল পরিমাণ ধন সম্পত্তিতে ভরে ওঠে।

আরো পড়ুন: অবিবাহিতদের ঘরে এইসব কা’জ করা ঠি’ক না! সুখী হ’তে চাইলে কি করণীয় জেনে নিন

প্রায় সব হিন্দু ঘরেই প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষী দেবীর আরাধনা করা হয়। তাই বাংলায় এই দিনটি লক্ষ্মীবার নামে পরিচিত। তবে কিছু কিছু অভ্যাসের কারণে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন।

আর দেবী যদি একবার অসন্তুষ্ট হন তাহলে জীবনে কষ্টের শেষ থাকে না। তাই মা লক্ষ্মীর পুজোয় যাতে কোনো ভাবেই কোনো ভুল ত্রুটি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেই অভ্যাসগুলি অবশ্যই বদলে ফেলতে হবে।

• প্রদীপ : যে বাড়িতে সকাল সন্ধ্যা পূজা-অর্চনা করা হয়, ধূপ প্রদীপ দেখিয়ে দেবদেবীর আরাধনা করা হয়, সেই বাড়িতেই মা লক্ষ্মী বিরাজ করেন। অন্যথায় মা লক্ষ্মী থাকেন না সেই বাড়িতে।

• অত্যাধিক ঘুম : সূর্যোদয়ের পড়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আজকাল প্রায় সকলেরই। আর এতেই দেবী লক্ষ্মী রুষ্ট হন। অন্যদিকে সন্ধ্যাবেলা সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় কেউ ঘুমোলেও মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন। অর্থাৎ সূর্য উদয় বা অস্ত যাওয়ার সময় ঘুমানো উচিত নয় একেবারেই। তাই এই অভ্যাসের দ্রুত পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

• সন্ন্যাসী-দরিদ্র ও শাস্ত্রের অনাদর : কোনো ব্যক্তি কখনও কোনো সন্ন্যাসী, নির্ধন বা গরীব ব্যাক্তিকে অপমান ও শাস্ত্রের অবমাননা করলে, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ কখনোই তার মাথার উপর থাকে না।

আরো পড়ুন: স্ত্রী আ’রা’ম করে! আমি বাসন মাজি, ঘর পরিষ্কার করি

• সন্ধ্যায় ভোগবিলাস না করা : যারা সন্ধ্যাবেলায় ভোগ বিলাসে মজে যান, মা লক্ষ্মীর কৃপাদৃষ্টি কখনোই তাদের ওপর বর্ষায় না। সেইসব ব্যক্তিদের ঠাঁই হয় নরকে।

• রাগ দেখানো এবং অপশব্দের ব্যবহার : যে ব্যাক্তি কথায় কথায় অত্যধিক মাত্রায় রেগে যায় এবং মানুষকে মানুষ হিসেবে জ্ঞান না করে নানান বাজে কথা বলে এবং অপশব্দ ব্যবহার করে তার এবং তার পরিবারের উপরে মা লক্ষ্মী তীব্র অসন্তুষ্ট হন এবং সেই পরিবার সর্বদাই অর্থকষ্টের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে।

• অপরিষ্কার থাকা : ঘর বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মী বসবাস করেন না। তাই শুধু পুজোর সময় নিজেকে পরিষ্কার রাখলেই চলবে না, সেই সাথে ঘর বাড়িও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।