সিনেমায় যে টর্নেডো দেখে আমরা মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যেতাম আর ভাবতাম, কিভাবে একটি ঘূর্ণিঝড় নিমিষে শেষ করে দিতে পারে জনজীবন। সেই টর্নেডো এখন আমাদের কাছে খুবই সাধারন একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে গত বছর থেকে। চলতি বছরে ইয়াশ এসে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে উপকূলবর্তী মানুষের জনজীবন। এর আগে আম্ফান কতখানি ধ্বংসাত্মক ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে চলতি বছরে একটি জিনিস লক্ষ্য করা গেছে, বড়োসড়ো ঘূর্ণিঝড় অথবা টর্নেডোর পাশাপাশি ছোটখাটো ঘূর্ণিঝড় মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এদিক ওদিক।
কিছুদিন আগে চন্দননগর এবং অশোকনগরে এই রকম ছোট ছোট ঘূর্ণিঝড় দেখতে পেয়েছিলাম আমরা। এবারে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ মোড় সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার রাতে মাত্র ২ মিনিটের টর্নেডো ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল শতাধিক বাড়ি। সূত্র থেকে জানা গেছে, মাত্র দুই মিনিটের এই ঝড়ে ১০০ টির বেশি বাড়ি ভেঙে গেছে। প্রচুর গাছপালা ভেঙে গিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
ভেঙে গেছে বহু মোবাইল ফোনের টাওয়ার এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি। গতকাল থেকে অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে সকলকে। এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন প্রশাসন। ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক এর বিডিও। পরিস্থিতি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দেখে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত গাছের ডালপালা। মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুরু হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর কাজ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষকে সাধারণ জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
