সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অভিষেকের প্রা’ণ সং’শ’য়ে’র আ’শ’ঙ্কা মমতার, চ’র’ম উ’দ্বে’গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর ২০২২ এ ত্রিপুরা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হয়েছেন এই লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতি। দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তের মতো তৃণমূলের যুব নেতা কর্মীরা হয়েছেন তার সৈনিক। আর এই লড়াইয়ে নেমে প্রথমেই ত্রিপুরাতে ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা।

অভিষেকের ত্রিপুরা সফরেও বারংবার অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার এবং রবিবার যেভাবে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের উপর আক্রমণ হয়েছে তাতে কার্যত অভিষেককে নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দেবাংশুদের উপর আক্রমণ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন সেদিন যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতেন তাহলে তারও মাথা ফাটতো। ত্রিপুরাতে অভিষেকের প্রাণ সংশয় রয়েছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রবিবার রাতে ত্রিপুরা থেকে আহত তিন যুব নেতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছেন অভিষেক। রাতেই তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য হাসপাতালে ছুটে যান। এরপর হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি ত্রিপুরার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরো বলেন, অভিষেককে হত্যার পরিকল্পনা চলছে।

মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিমানে উঠবেন, সেই বিমানে তার আশে পাশের সিটে গুন্ডাদের উঠিয়ে দেওয়া হবে। তার প্রাণ সংশয় রয়েছে। উল্লেখ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফরে কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগান, পথ অবরোধের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। তার কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল।