এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আবার টেট দুর্নীতির মামলা রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়।
ইতিমধ্যেই 269 জন এর চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। এদিকে আবার মাদ্রাসা কমিশনেও দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া গেল। নতুন করে আর কোনও কেলেঙ্কারির খোঁজ পাওয়া গেলে মাদ্রাসা কমিশন তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
এই নিয়ে প্রশাসনিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মাদ্রাসা কমিশনের নিয়োগ এর বিনিময়ে অভিযোগ তুলে সাতজন চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 2010 সালে যাদের ডিএলএড এবং বিএড পাশের সার্টিফিকেট রয়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকারের কথা জানিয়েছিল মাদ্রাসার কমিশন।
আরো পড়ুন: স্ব’স্তি’র বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায়, কবে ঢু’ক’ছে বর্ষা?
এবার 2014 সালে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সে সময় উপযুক্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার না দিয়ে কম মেধাসম্পন্ন প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করে কমিশন।
এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন সাতজন প্রার্থী। এই মামলার রায় শোনাতে গিয়ে অভিজিৎ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন নতুন করে অনিয়ম খুঁজে পেলে মাদ্রাসা কমিশন তুলে দেওয়া হবে। মাদ্রাসা কমিশনকে ইতিমধ্যেই 70 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে আদালতের তরফ থেকে।
আগামী 15 দিনের মধ্যে সাতজন চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে তা ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বেরোলে তারা যাতে কোনভাবে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
