বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানান রকমের রোগ এসে বাসা বাঁধে। তার মধ্যে অন্যতম হার্টের অসুখ ব্লাড সুগার ব্লাড প্রেসার কোলেস্টেরল। মানুষের দেহে দুই ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। একটি হল হাই ডেনসিটি লাইপো প্রোটিন এবং লো ডেনসিটি লাইফোপ্রোটিন। প্রথমটি ভালো কোলেস্টেরল নামে পরিচিত এবং দ্বিতীয়টিকে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়।
এই খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে নানান রকম ক্ষতি সাধন করে। বিশেষ করে সংবহন তন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। চিকিৎসকরা জানান খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে দুখানা কারণে। এক হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অন্যটি হলো খারাপ খাদ্য অভ্যাস।
এই দুটি কারণে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায় শরীরে। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলি প্রতিদিন যে খাবার পাতে রাখতে পারলে এই কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতিদিন ডায়েটে রাখতে পারেন ওটস। শরীরের পক্ষে যেমন ভালও ঠিক তেমনি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বার করবার জন্যে এর ভূমিকা অব্যর্থ।
আরো খবর: দো’ষ কা’টা’তে ও ক্ষমা চাইতে আজই শিবমন্ত্র জপ করুন, সব দুঃখ দূ’র হবে
কমলালেবুর মধ্যে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন সি যার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কমলালেবুতে আছে মিক্সড ফাইবার। এই ফাইবার কোলেস্টেরল অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আপেল খেতে কে না ভালোবাসেন এই আপেল কোলেস্টেরল বা হৃদ যন্ত্রের যেকোনো সমস্যা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
সেজন্য চিকিৎসকরা হৃদরোগীদের বেশি করে আপেল খাবার পরামর্শ দেন। হৃদযন্ত্রের রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না আপেল। এছাড়া স্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সামুদ্রিক মাছে বিশেষ পরিমাণে রয়েছে ওমেগা থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।