ট্রেন থেকে প্রেমিকাকে উদ্ধার করল প্রেমিক। শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের শামুকতলার এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ফোনেই বেশিরভাগ কথাবার্তা হত।
মেয়েটির বাড়ির কাছে ওই যুবকের আত্মীয়ের বাড়ি। সেই সুবাদেই পরিচয় হয়েছিল মেয়েটির সঙ্গে। ঠিক যেমন সুতপার সঙ্গে একদিন পরিচয় হয়েছিল সুশান্তর।
কিন্তু এই ঘটনার প্রেমিক-প্রেমিকা ঠিক সুশান্ত- সুতপার মতো নন। সম্প্রতি প্রেমিকা ওই যুবককে ফোনে জানান তিনি দিল্লিতে বেশ মোটা বেতনের চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে কিছু বলার দরকার নেই।
আরো পড়ুন: বাড়ির বউ দারোয়ানের স’ঙ্গে ঘু’র’তে গেলেন পার্কে! স্বামী হাতেনাতে ধরতেই যা হলো
কিন্তু প্রেমিকের কেমন যেন সন্দেহ হয়। এদিকে ওই যুবতী ট্রেনে চেপে দিল্লির দিকে রওনা হয়েছেন এটা জানতে পেরেই আতঙ্ক চেপে বসে যুবকের মনে। এনজেপি স্টেশনে নেমে যাওয়ার জন্য তিনি প্রেমিকাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু মোটা বেতনের চাকরির লোভ।
যুবতী নামতে চাননি ট্রেন থেকে। অগত্যা বাধ্য হয়েই ওই যুবক পুলিশে ফোন করেন। ওই যুবক প্রেমিকার একটি ছবি তিনি পুলিশের কাছে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পৌঁছে দেন। এরপরই আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ ও রেল পুলিশের টিম জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ট্রেনটিতে তল্লাশি চালায়।
এরপরই চার কন্যাকে উদ্ধার করা হয়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এব্যাপারে তৎপর হয়। উদ্ধার হওয়ার মেয়েগুলির মধ্যে একজনের বয়স ১৬ বছর। বাকিদের বয়স ১৯-২৪ বছরের মধ্যে। দুজন অভিযুক্ত পাচারকারীকেও আটক করেছে পুলিশ।