পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন বছরে প্রথম সপ্তাহে ‘স্টুডেন্টস উইক’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আগামী সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পড়ুয়াদের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ২,০০০ পড়ুয়ার উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে করোনার যা পরিস্থিতি, তাতে ওই অনুষ্ঠান আর করতে চায়নি নবান্ন। একইসঙ্গে রবিবার থেকে শুরু হতে চলা ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিও বাতিল করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রবিবার মুখ্য সচিব কী ঘোষণা করেন, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে। অনেক রাজ্যই ইতিমধ্যে নানা বিধিনিষেধের পথে হেঁটেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার পশ্চিমবঙ্গেও কড়া বিধিনিষেধ জারি হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সেই সম্ভাবনাই ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের শীর্ষ মহলে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রয়োজন ফের ‘কঠোর’ হতে হবে প্রশাসনকে। আর এই প্রেক্ষিতে রবিবার দুপুর তিনটের সময় রাজ্যের মুখ্য সচিব সাংবাদিক বৈঠক করতে চলেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ওই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই পশ্চিমবঙ্গে নয়া বিধিনিষেধ চালুর ঘোষণা করতে পারেন মুখ্য সচিব।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। ‘রিভিউ’ করে প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, লোকাল ট্রেন বা যানবাহন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার রাস্তায় এখনই হাঁটবে না সরকার। তবে, স্কুল-কলেজ ফের সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। হোটেল-রেস্তোরাঁ-বার-পাব, সিনেমা হল, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্কগুলির বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে।