রাজ্য সরকারের দলের মধ্যে এখন চলছে লীলাখেলা। দলের একাধিক নেতাদের জিম্মায় রয়েছে একাধিক বান্ধবী। “বান্ধবী ছাড়া জীবন অচল” এমনই বক্তব্য মদন মিত্রের। বাংলায় আগে থেকে মদন মিত্র কালার বয়। তাকে প্রত্যেকেই এই নামেই চেনেন।
সবসময় তাকে দেখা যায় নানা রকম মুডে। কখনো কবিতায় তো কখনো গানে রাজ্যবাসীকে মাতিয়ে রাখেন। বর্তমানে পার্থ চ্যাটার্জি রয়েছে খবরের শিরোনামে এবং তাকে ঘিরে বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে মদন মিত্র কে, তবে মদন মিত্রের উত্তর কিছুটা ছিল হাটকে। কারণ তিনি এমন মতামত পোষণ করলেন যেটা শুনে হয়তো স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা তৈরি হতে পারে।
আরো পড়ুন: বাড়ি থেকে উ’দ্ধা’র জনপ্রিয় অভিনেতার নিথর দেহ, শো’কে’র ছা’য়া বিনোদন জ’গ’তে
মদন মিত্রের বক্তব্য,” বান্ধবী ছাড়া জীবনটা মরুভূমি”। কসবার একটি মোবাইলের দোকানের রবিবার সন্ধায় হাজির হন মদন মিত্র এবং সেখানেই সংবাদমাধ্যমের সামনা সামনগ হয় তাঁর। পার্থ চ্যাটার্জি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জির সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হয়।
প্রশ্নের সম্মুখীন হলে মদন মিত্র জানান,” দুর্নীতি কতটা হয়েছে সে সম্পর্কে এখনও তিনি জানেন না, বান্ধবীকে যদি কিছু দিতে হয় তাহলে তার বদলে তো কিছু ডকুমেন্টস থাকা প্রয়োজন। কোথা থেকে কিছু কিনলাম অথবা কোথা থেকে কি পেলাম সে সমস্তটাই একটা হিসাব।”
তিনি আরো বলেন,”রাজ্যের বিধায়করা এখন শাড়ি কেনার জন্য ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে যান। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের টাকা আত্মসাৎ করে ফুর্তি করে বান্ধবী নিয়ে এগুলো অন্যায় কাজ।”
পার্থ চ্যাটার্জি সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে মদন মিত্র জানান,’ পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে আমি নিজের তুলনা কখনোই করব না। উনি অনেক বড় মন্ত্রী নেতা। কিন্তু আমার যে সমস্ত বান্ধবীরা আছে তারা সবসময় ঝাল মুড়ি খেয়ে খুশি থাকে। তবে দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পার্থ চ্যাটার্জি সম্পর্কে সেটাতে আমি অবশ্যই সহমত।
মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে কোন ধর্মই পালন হয় না। আমার একমাত্র সাথী আমার স্ত্রী।” আগেই মদন মিত্র একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন,” পার্থ চ্যাটার্জি সমসাময়িক আমি কখনোই হতে পারবেনা। পার্থবাবু যা পারফরমেনস দেখিয়েছে সেই পারফরম্যান্সের কাছে আমি একদমই চুনোপুটি।”
