সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উঠতি অভিনেত্রীদের মৃ’ত্যু নিয়ে রচনার মন্তব্যের বি’রো’ধি’তা করে ট্রো’ল করলেন লীনা গাঙ্গুলির ছেলে

সম্প্রতি টলিউডের উঠতি মডেল এবং অভিনেত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনা সম্পর্কে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছিলেন টলিউড অভিনেত্রী তথা সারাবাংলার সকলের প্রিয় দিদি রচনা ব্যানার্জি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গে তার যে কোনও মন্তব্য যথেষ্ট মাত্রায় গুরুত্ব রাখে।

টেলিভিশন অভিনেত্রী পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষাদের আত্মহত্যা প্রসঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের মানসিকতাকে দায়ী করে রচনা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, এই মডেলদের আত্মহত্যার কথা শুনে তিনি যতটা না কষ্ট পেয়েছেন তার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়েছেন তাদের বাবা-মায়েদের কথা ভেবে।

অভিনেত্রী বলেন এখনকার প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শেষ না করেই অভিনয় করতে চলে আসছে। আসলে এই প্রজন্ম একেবারেই স্ট্রাগল করতে শেখেনি। কাজ না পেলে অবসাদে ভোগে, আর তারপর কোনো কিছু না ভেবেই আত্মহত্যা! রচনার এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই পক্ষে-বিপক্ষে বহু মতামত এসেছে।

আরো পড়ুন: প্রে’মে প্রত্যাঘাত! কিশোরীর উপর ১৪ বার ছু’রির আ’ঘা’ত, অভিযুক্তের দে’হ মি’ল’লো রেললাইনে

আর এই বিষয়েই মুখ খুলেছেন টলিউডের পরিচালক তথা চিত্রনাট্যকার লীনা গাঙ্গুলীর ছেলে অর্ক গাঙ্গুলী। রচনার মন্তব্যের বিপক্ষ অবস্থাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। রচনাও যে টিনএজে মডেলিং করতেন সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরিচালক রচনা ব্যানার্জির ‘অবসাদ’ প্রসঙ্গে এহেন মন্তব্যের চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন।

পরিচালকের কথায়, “এরা সহবাস করতেন, বা কারুর নাকি পুরুষ বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ছিল। ব্যাস! তার সাথে মদ আর সিগারেটকে জুড়ে পুরো ব্যাপারটার নাম দিয়েছেন “ফুর্তি” – এই ফুর্তি নিয়ে দিদির মনের মরাল পুলিশটি জেগে উঠেছে। তাই দিদি সোজাসুজি বলে দিয়েছেন – এদের মৃত্যুতে ছিটেফোঁটা কষ্টেরও কোন অবকাশ নেই।

ও! তার সাথে আনুষঙ্গিক ব্যাপারগুলোও ধরে নিয়েছেন, মানে যেমন ধরুন এরা বাবা-মার কথা শোনেন না, বয়ফ্রেন্ডের কথা শোনেন। মানে মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক তো আমেরিকায় হয়, এখানে তো তোমাকে বাবা-মার কথা শুনতে হবে, আর যদি কখনো মদ খাও বা সহবাস করো, তাহলে তো বাবা-মার কথা শোনা হল না! আচ্ছা, এবার তুমি মরতে পারো।”

রচনার শিক্ষা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে পরিচালক বলেছেন, “অবসাদ একটি মানসিক রোগ, সেটা আমার মত উশৃঙ্খলের যেমন হতে পারে, তেমন আপনার মত শৃঙ্খলাপরায়নেরও হতে পারে। Impulse বা আবেগও বিবাহ ববহির্ভূত ‘যৌ’নতা’র জন্য বেড়ে যায় না। আর ওই, আপনাদের সময়ে শিকড় শক্ত ছিল বলে আত্মহত্যা হতোনা, না কি একটা বলেছেন?

ওটাও একটু বোকার মত বলে ফেলেছেন – আপনাদের ‘সময়’ যদি 20 বছর আগের কথা ধরি, দেশে আত্মহত্যার বার্ষিক হার তখন আজকের থেকে প্রায় 29.9% বেশী ছিল। তাই গভীর বিষয়কে গভীর ভাবে ভেবে মন্তব্য করুন – না হলে যে বা যারা বলেন ছোট জামা পরার জন্যে ধর্ষণ হয়, তার বা তাদের মন্তব্য এর সাথে আপনার মন্তব্য এর তফাৎটা কোথায়?”