সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এ’টি’এমে টা’কা তো’লা’র স’ম’য় ন’জ’র রা’খু’ন স’বু’জ আ’লো’র দি’কে!

এটিএমে টাকা তোলার সময় নজর রাখুন সবুজ আলোর দিকে!

বর্তমান সময়ে সাইবার ক্রাইমের মতো ঘটনা রোজই বাড়ছে। তবে অনলাইন লেনদেনের পাশাপাশি এটিএম থেকে টাকা তোলাও নিরাপদ নয়। এটিএম নগদের সমস্যা মিটিয়েছে ঠিকই, তবে মানুষের অসুবিধাও বাড়িয়েছে। প্রতিদিনই এটিএম জালিয়াতির নতুন নতুন ঘটনা সামনে আসে। একটু সতর্কতা আপনাকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারে।

খেয়াল রাখুন যে কোনও ATM থেকে টাকা তোলার আগে, আপনি যে মেশিন থেকে টাকা তুলছেন সেটি সুরক্ষিত কিনা। এটিএম-এ সবচেয়ে বড় বিপদ কার্ড ক্লোনিং থেকে হতে পারে। এটিএম মেশিনে কার্ডটি যে স্লটে ঢোকানো থাকে সেখান থেকে হ্যাকাররা যে কোনো গ্রাহকের ডেটা চুরি করতে পারে। তারা এটিএম মেশিনের কার্ড স্লটে এমন একটি ডিভাইস রাখে, যা আপনার কার্ডের সম্পূর্ণ তথ্য স্ক্যান করে।

এর পরে, তারা ব্লুটুথ বা অন্য কোনও ডিভাইসঃএর মাধ্যমে ডেটা চুরি করে। আপনার ডেবিট কার্ডের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য, হ্যাকারের কাছে আপনার পিন নম্বর থাকতে হবে। হ্যাকাররা ক্যামেরা দিয়ে পিন নম্বর ট্র্যাক করতে পারে। এই ধরণের চুরি এড়াতে আপনি যখনই এটিএম-এ আপনার পিন নম্বর লিখবেন, অন্য হাত দিয়ে সেটি লুকিয়ে রাখুন। যাতে সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা যেতে না পারে।

আপনি যখন এটিএমে যান, মেশিনের কার্ড স্লট সাবধানে পরীক্ষা করুন। আপনি যদি মনে করেন, এটিএম কার্ডের স্লটে কোনও কারসাজি করা হয়েছে বা স্লটটি ঢিলেঢালা বা অন্য কোনও ত্রুটি রয়েছে তবে সেটি ব্যবহার করবেন না।

এমনকি কার্ড স্লটে কার্ড ঢোকানোর সময় সবুজ আলো চেক করে নেবেন। স্লটে সবুজ বাতি জ্বললে এটিএম নিরাপদ। কিন্তু লাল বা কোনো আলো না থাকলে সেই এটিএম ব্যবহার করবেন না। আপনার ছোট্ট ভুল বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। আপনি যদি কখনও মনে করেন, হ্যাকারদের ফাঁদে পড়েছেন তা হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।