বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য যে শুধুমাত্র ভালো ফিগার এবং ভালো লুক হতে হবে, তা কিন্তু নয়। আজও মানুষ দর্শনের থেকে বেশি প্রাধান্য দেয় যোগ্যতাকে। এই কথাটির প্রত্যক্ষ প্রমাণ করে দিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, ইরফান খান, মনোজ বাজপাই এবং রাজকুমার রাও এর মত মানুষেরা। বলিউডের অন্যতম দুর্দান্ত অভিনেতা রাজকুমার রাও এর গতকাল ছিল জন্মদিন। ৩৭ তম জন্মদিন পালন করলেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই শাহরুখ খানের বিরাট বড় ভক্ত ছিলেন তিনি। একবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, শাহরুখ খানের জন্যই আজ এত বড় অভিনেতা হতে পেরেছি। শাহরুখ খানের জন্যই শিখেছি যদি স্বপ্ন দেখতে হয়, তাহলে সেই স্বপ্নকে জয় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। স্বপ্নকে নিয়েই বাঁচতে হবে। তাহলে একদিন ঠিক সেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে যায়।
আজ কথা বলব, অভিনেতার ছোট্ট বেলাকার একটি মজার ঘটনা নিয়ে। অভিনেতার জীবন যখন তখন সেটাও যে একটু ফিল্মি হবে না, তা কি কখনো হয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তার ছোটবেলার একটি মজার ঘটনা শেয়ার করেছিলেন সকলের সঙ্গে। তিনি বলেছিলেন, একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করার সময় তিনি একটি মজার কাণ্ড ঘটিয়ে বসে ছিলেন। কিন্তু মজার কান্ড ঘটাতে গিয়ে তাকে ২৫ জন ছেলের হাতে বেধড়ক মার খেতে হয়েছিল।
আসলে তখন তিনি গুরগাও এর ব্লু সেলস ইস্কুলে পড়তেন। সেখানেই একটি মেয়েকে বাস্কেটবল খেলতে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান তিনি এবং তার মনে পড়ে যায় কুচকুচ হোতাহে সিনেমার অঞ্জলীর কথা। তিনি মনে করেন যে, তিনি তার অঞ্জলীকে খুঁজে পেয়ে গেছেন। কিন্তু এখানেও ঘটে যায় একটি টুইস্ট। মেয়েটিকে মনের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন মেয়েটির একটি বয়ফ্রেন্ড রয়েছে অর্থাৎ এখানে অঞ্জলীর জীবনে রয়েছে একজন তৃতীয় ব্যক্তি।
লুকিয়ে লুকিয়ে কোনরকমে যখন রাজকুমার তার স্বপ্নের অঞ্জলীর সঙ্গে দেখা করছিলেন, এহেন অবস্থায় কোথা থেকে মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড জানতে পেরে যায় এবং ২৫ জন বন্ধুকে নিয়ে রাজকুমার রাওকে মারতে আসেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও রাজকুমার রাও এর মাথায় একটি কথা ঘুরছিল, তাকে অভিনেতা হতে হবে। তাই তিনি তাদের হাসতে হাসতে বলেন, আমার মুখে আঘাত করো না আর যাই করো, আমাকে অভিনেতা হতে হবে।
