এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেমন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, ঠিক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও যে দুর্নীতি সামনে উঠে এসেছে সেই ক্ষেত্রেও তদন্তভার দেওয়া হল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকেই।
এমনকি চন্দন মন্ডল অর্থাৎ রঞ্জন কে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার ছাড়পত্র দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ১৫ ই জুন মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তদন্তকারী সংস্থা কে।
সম্প্রতি সৌমেন নন্দী নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন কিছু ব্যক্তি মাধ্যমিকে পাস না করেও সচ্ছন্দে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন।
আরো পড়ুন: টা’কা পেয়ে ছবি মুক্তির আগেই স’রে দাঁ’ড়া’লে’ন নুসরতের স্বামী যশ, কেঁ’দে অ’স্থি’র এনা সাহা
মামলাকারীর আইনজীবী ফেরদৌস শামীম এর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক বেঞ্চ মামলার অনুমতি দেয়। গতকাল মঙ্গলবার এই অনুমতি দেওয়া হয় আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর।
সেই আইনজীবী জানায় ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, আর সেখানেই ৮৬ জন এমন রয়েছে যারা কিনা ফেল করেও চাকরি করছেন।নবম দশম, ও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে জল ঘোলা হচ্ছে রাজ্যে।
সেই দিক থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তেমন একটা জলঘোলা চোখে পড়েনি। কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের একটি ভিডিয়ো বার্তা, এই বিষয়টিকে একেবারে উসকে দিয়েছে।যার কারণেই নতুন করে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুন: সকলকে অ’বা’ক করে ক্রিকেটের সব ফরম্যাট থেকে অবসর ঘো’ষ’ণা মিতালি রাজের
ভিডিওতে বলা হয়েছে রঞ্জন নামে এক ব্যক্তি টাকা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এরপর থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বেআইনি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা দায়ের হয়।
আজ বুধবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, সেই রঞ্জন নামের ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে আগামী ১৫ ই জুন।
