মেরিন ড্রাইভ নামটা শুনলেই কিন্তু আমাদের মুম্বাইয়ের কথা সবার আগে মনে পরে। কিন্তু যদি বলি এবার বাংলাতেই তৈরী হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ। আজ্ঞে হ্যাঁ দীঘা কাথি মেরিন ড্রাইভের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ অতি মারি সমস্ত কিছুর কারণেই দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল, কিন্তু এবার সেই কাজ শেষের দিকে। গত কয়েকমাস দিন রাত পরিশ্রম করে ইঞ্জিনিয়াররা কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে।
এই প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে, স্বপ্নের এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৈকত সরণী। এই প্রকল্প কিন্তু এক নতুন দ্বার খুলে দিচ্ছে সমুদ্র সৈকতে।
আরো পড়ুন: কো’থা’য় কালবৈশাখী? বইবে তাপপ্রবাহ! কি ব’ল’লো হাওয়া অফিস?
এতে মনে করা হচ্ছে পর্যটন শিল্পে আরও অনেকটাই বেশী উন্নতি হবে।একটা নতুন দিক খুলে যাবে দীঘা সহ তার আশেপাশের তাজপুর, শঙ্করপুর, কাঁথি, মন্দারমণি, শৌলা সমস্ত জায়গা। এই মেরিন ড্রাইভের দ্বারা এই সমস্ত জায়গা সহজেই যুক্ত হবে।তাই শুধু সময়ের অপেক্ষা।
গত এক দশক থেকে দীঘার রূপ একেবারেই বদলে গিয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘাকে একেবারে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, যার কারণে আগের তুলনায় বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।এবার এই সৈকত সরণীর দ্বারা সেই রূপ আরও বেশী বদল হতে চলেছে ।
আরো পড়ুন: সিকিমের পাহাড়ি পরিবেশে বি’য়ে করলেন দুই টলি তারকা, স্বামীকে সিঁদুর প’রা’লে’ন অঙ্কিতা
কারণ এই প্রকল্প সরাসরি মানুষের জীবনের ওপরে প্রভাব ফেলবে। জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করবে।সৈকতের পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই নতুন প্রকল্প এক মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে।
২০১৫ সালে এই মেরিন ড্রাইভের ঘোষণা করা হয়েছিল, যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭০ কোটি টাকা। সমুদ্র বাঁধের ওপর দিয়ে ৩০ কিমি রাস্তা যা দীঘাকে আরো বেশি উন্নত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।