সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শুধু মেয়েদের জন্য, ৬ ধরণের পুরুষের সা’থে স’ম্প’র্কে যাওয়ার আগে সাবধান হয়ে যান, পরে আফসোস হ’তে পারে

আমাদের এই দুনিয়ায় প্রেমের ছড়াছড়ি। ‘প্রেম যে কাঁঠালের আঠা, লাগলে পড়ে ছাড়ে না।’ সত্যি প্রেমের অনুভূতি যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি। প্রেমে পড়লেও জ্বালা আবার এর স্বাদ না পেলেও জ্বালা। প্রেমে পড়ার সঠিক কোনও বয়সই হয় না। যখন ইচ্ছা তখনই পড়া যেতেই পারে। জীবনের বিভিন্ন পর্যায় এসে প্রেমের বিভিন্ন সংজ্ঞার মানে বোঝা যায়। কার জীবনে কীভাবে প্রেম আসবে তা কেউই আগে থেকে বলতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রেম হয় ক্ষণস্থায়ী। তবে ভাগ্যদেবী যদি সহায় হয় তাহলে সেই প্রেম দীর্ঘজীবী হতে বাধ্য। তবে প্রেম মানেই যে তার বাকি বৈশিষ্ট্য সব ভালো তা কিন্তু নয়।

হঠাৎ প্রেমে পড়ার ফল খারাপও হতে পারে। তাই আগে থেকেই কিছু জিনিসের প্রতি সতর্ক হওয়া খুব জরুরি। যেমন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রেম সম্পর্কে অনেকেই প্রতারিত হয়ে থাকে,অনেকের ই বিশ্বাস ভাঙে। কয়েক ধরনের পুরুষ আছেন, যারা মহিলাদের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেন। প্রেম সম্পর্কে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া র পর তারা সেই সম্পর্কটি কে অস্বীকার করে। মহিলাদের পাশাপাশি অনেক পুরুষ ও প্রতারিত হন মহিলাদের থেকে। এর চরম পরিণতি হিসেবে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। প্রেমে পড়ার আগে সবদিক চিন্তা ভাবনা করে তবেই সেখানে এগোনো উচিত। আজ দেখে নেওয়া যাক, কোন ধরনের পুরুষদের এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

১) ইগো এমন একটা জিনিস যা যে কোনও সম্পর্ককে খারাপ করে দিতে পারে। এদের দেখে খুবই স্মার্ট ও আত্মবিশ্বাসী মনে হলেও লক্ষ্য করে দেখবেন এরা সবসময়ে আপনার সামনে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে চায় কিনা। এরা কখওই নিজের ভুল দেখতে পায় না। নিজের ভুল বেরিয়ে পড়লে এরা তর্কের বিষয়টাই পাল্টে দেয় কারণ ছোট খাটো বিষয়তেও হেরে গেলেও এদের মেল ইগো হার্ট হয়।

১) কেয়ারিং সঙ্গী সবাই পছন্দ করেন। অনেকেই বলে থাকেন “জীবনসঙ্গীর ওভার স্মার্ট হয় ওয়ার দরকার নেই। আমার একজন কেয়ারিং জীবনসঙ্গী প্রয়োজন।” কিন্তু সবকিছুরই একটা লিমিট থাকে। অতিরিক্ত কেয়ারিং মনোভাব যে কোনো সম্পর্ক খারাপ করার জন্য যথেষ্ট। প্রেমের প্রথম দিকে এসব খুব উপভোগ করলেও পরবর্তীকালে রীতিমতো বিরক্ত লাগে। এরা পরবর্তীকালে অতিরিক্ত পজেসিভ হয়ে ওঠে, যার কারণে নিত্যনতুন অশান্তি লেগেই থাকে।

২) অতিরিক্ত পজেসিভনেস যেমন একটা সময় পর দমবন্ধ লাগতে শুরু করে তেমন ই অতিরিক্ত অবজ্ঞা যেকোনো সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়। এরা নিজেদের স্বার্থ খুব ভালো বোঝে। এরা প্রেমিকাদের taken for granted করে নেয়। এই ধরনের প্রেমিকরা নিজেদের ইচ্ছে ও সময় মতো সময় কাটায়। এদের কাছে প্রেমিকার ইচ্ছের কোনো দাম নেই। এদের ক্ষেত্রে এগোলেও বিপদ, পেছোলেও বিপদ। প্রেমিকার থেকে অ্যাটেনশন না পেলে এরা আবার ভীষণ রেগে যায়।

৩) অনেকের ক্ষেত্রে ইগো ব্যাপারটা ভীষণ স্ট্রং। এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদের চারপাশে ইগোর একটা দেওয়াল গড়ে রাখেন। নিজেকে সবার কাছে খুব স্মার্ট ও আত্মবিশ্বাসী বলে প্রমাণ করেন।এবং এমন একটা হাবভাব দেখান যে তিনিই সবজান্তা। সবসময়ে আপনার সামনে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে চায়। কখনোই নিজের ভুল দেখতে পায় না এরা। যদি তাদের ভুল কোনো কারণে আপনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তাহলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে এরা তর্কের বিষয়টাই পাল্টে দেয় কারণ এদের মেল ইগো হার্ট হয়।

৪) প্রথম প্রথম এরা প্রেমিকা বলতে অজ্ঞান। কিন্তু সম্পর্কের হানিমুন পিরিয়ড কাটতেই প্রেমিকা কী কী পারে না, এবং প্রেমিকার যাবতীয় খুঁত টেনে বের করে।

৫) কোনো কোনো পুরুষ নিজেকে সর্বেসর্বা প্রমাণ করতে চায়। সর্বদা প্রেমিকাকে দমিয়ে রাখার মাধ্যমে নিজেদের পুরুষত্ব দেখায়। পরবর্তীকালে অতিরিক্ত শাসন যে কোনো প্রেমিকার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। অবদমন সম্পর্কের জন্য সবচেয়ে খারাপ।

৬) এদের এক কথায় ক্যাসানোভা বলা যেতে পারে। এদের কাছে প্রেম সম্পর্কের মূল উদ্দেশ্যই হল যৌনতা। প্রেমের প্রথম দিকেই থেকেই এরা যৌনতায় জড়ানোর জন্য প্রেমিকাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এদের কাছে যৌনতা ভীষণ স্বাভাবিক ব্যাপার। সম্পর্কে যৌনতার চাহিদা মিটে গেলে সম্পর্ক ভেঙে ফেলতেও কোনোরকম দ্বিধাবোধ করে না।

তাই সবশেষে একটা কথাই বলব বুঝেশুনে পা ফেলুন, না হলে নিজেরাই বিপদে পড়বেন।